পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অক্টোবরের শেষ অংশে দেশে পৌছব বলে আশা করি। ইতি ১১ সেপ্টেম্বর ১৯২৭ স্নেহানুরক্ত স্ত্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 9 & ১৭ সেপ্টেম্বব ১৯২৭ কল্যাণীয়েযু অমিয়, এখানকার দেখাশুনো প্রায় শেষ হয়ে এল। ভারতবর্ষের সঙ্গে জোড়াতাড়া-দেওয়া লোকযাত্রা দেখে পদে পদে বিস্ময় বোধ হয়েচে । রামায়ণ মহাভারত এখানকার লোকের প্রাণের মধ্যে যে কি রকম প্রাণবান হয়ে রয়েচে সে কথা পূৰ্ব্বেই লিখেছি। প্রাণবান বলেই এ জিনিষটা কোনো লিখিত সাহিত্যের সম্পূর্ণ পুনরাবৃত্তি নয়। এখানকার মানুষের বহুকালের ভাবনা ও কল্পনার ভিতর দিয়ে তার অনেক বদল হয়ে গেচে । তার প্রধান কারণ, মহাভারতকে এরা নিজেদের জীবনযাত্রার প্রয়োজনে প্রতিদিন ব্যবহার করেচে। সংসারের কৰ্ত্তব্যনীতিকে এরা কোনো শাস্ত্রগত উপদেশের মধ্যে সঞ্চিত পায় নি, এই দুই মহাকাব্যের নানা চরিত্রের মধ্যে তারা যেন মূৰ্ত্তিমান। ভালোমন্দ নানা শ্রেণীর মানুষকে বিচার করবার মাপকাঠি এই সব চরিত্রে। এই জন্যেই জীবনের গতিবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তাদের এই জীবনের সামগ্রীর অনেকরকম বদল হয়েচে । কালে কালে বাঙালী গায়কের মুখে মুখে বিদ্যাপতি ৬৮