পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চণ্ডীদাসের পদগুলি যেমন রূপান্তরিত হয়েচে এও তেমনি । কাল আমরা যে ছায়াভিনয় দেখতে গিয়েছিলেম তার গল্পংাশটা টাইপ করে আমাদের হাতে দিয়েছিল। সেটা পাঠিয়ে দিচ্চি, পড়ে দেখো। মূল মহাভারতের সঙ্গে মিলিয়ে এটা বাংলায় তর্জমা করে নিয়ো । এ গল্পের বিশেষত্ব এই যে, এর মধ্যে দ্রৌপদী নেই। মূল মহাভারতের ক্লাব বৃহন্নলা এই গল্পে নারীরূপে “কেনবর্দি” নাম গ্রহণ করেচে। কীচক একে দেখেই মুগ্ধ হয় ও ভীমের হাতে মারা পড়ে। এই কীচক জাবানি মহাভারতে মৎস্যপতির শক্র, পাণ্ডবেরা একে বধ করে বিরাটের রাজার কৃতজ্ঞতাভাজন হয়েছিল। আমি মঞ্জুনগরে উপাধিধারী যে রাজার বাড়ির অলিন্দে বসে লিখচি চারদিকে তার ভিত্তিগাত্রে রামায়ণের চিত্র রেশমের কাপড়ের উপর অতি সুন্দর করে অঙ্কিত। অথচ ধৰ্ম্মে এরা মুসলমান। কিন্তু হিন্দুশাস্ত্রের দেবদেবীর বিবরণ এরা তন্ন তন্ন করে জানেন। ভারতবর্ষের প্রাচীন ভূবিবরণের গিরিনদীকে এরা নিজেদের দেশের মধ্যেই গ্রহণ করেচেন। বস্তুত সেটাতে কোনো অপরাধ নেই কেননা রামায়ণ মহাভারতের নরনারীরা ভাবমূৰ্ত্তিতে এদের দেশেই বিচরণ করচেন, আমাদের দেশে তাদের এমন সৰ্ব্বজনব্যাপী পরিচয় নেই– সেখানে ক্রিয়াকৰ্ম্মে উৎসবে আমোদে ঘরে ঘরে র্তার এমন করে বিরাজ করেন না। ইতি ১৭ সেপ্টেম্বর ১৯২৭ স্নেহানুরক্ত স্ত্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ᏬᎼ