পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করতে হয় সকল কৰ্ম্মই কাব্যের মতো অহৈতুক আনন্দময় নয়। অর্থাৎ কেবল তার রূপের সৌষ্ঠব নিয়েই সন্তুষ্ট হওয়া চলেনা তার ফলের বিচারও চাই। মানুষের অভাব আছে তা পূরণ করতে হবে । এর জন্ত্যে যে সাধনা সে রূপের সাধনা নয় । তার শেষ লক্ষ্য সিদ্ধি। জলপাত্রের চরম কথাটা এই যে তাতে করে বেশ ভালো করে জলসঞ্চয় বা জল পান করতে পারা চাই— সেই সঙ্গেই গৌণভাবে তাকে সুন্দর করা ভালো । zÊişH-az Ode to Grecian Urn Ft UfR TRETCH অতীত, সুতরাং সুন্দর হওয়াই তার পক্ষে যথেষ্ট, কিন্তু যে পাত্রটি দেখে তিনি ঐ কবিতা লিখেছিলেন, তার মূল প্রয়োজন ছিল আধারের কাজ ভালো করে করা— আনুষঙ্গিক ভাবে সুন্দর যদি সে নাও হত তাহলে খুব বেশি নালিশের কারণ থাকত না। বিদ্যালয়টাও তেমনি ব্যাবহারিক বস্তু, বিশেষ অভাব পূরণের জন্তে— অর্থাভাবে, লোকাভাবে, নিষ্ঠাভাবে তা যে পরিমাণে অসমাপ্ত থাকবে সেই পরিমাণেই সেজন্তে লজ্জিত হওয়া চাই। অতএব সমুদ্রের এপারে ওপারে দৌড়োদৌড়ি করতেই হবে, তাতে শরীর থাক আর যাক । তোমাদের প্রতি আমার অনুরোধ এই যে, জিনিষটাকে আত্মীয়ের মতো দেখো। যদি কোথাও শৈথিল্য ধরা পড়ে তবে দুঃখবোধ ও প্রতিকারের চেষ্টা কোরো। আমার অনুপস্থিতিতেই তোমাদের দায়িত্ব আরো অনেক বেশি এই কথাটি ভুলোনা। ছাত্রছাত্রীদের মধ্যেও এই আত্মীয়োচিত দায়িত্ববোধ যদি জেগে ওঠে তাহলে আমি সব চেয়ে আনন্দিত >br טאג 3 מ