পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ও নিশ্চিন্ত হই। সম্প্রতি আমরা বিদ্যালয়ের যে সমস্ত ব্যবস্থাবিধিকে অঁাট করে তুলছিলুম, তার মধ্যে ওখানকার মেয়েদের বেষ্টন করতে পারিনি। সেখানে শান্তিনিকেতনের পুরুষ কর্তৃপক্ষদের দৃষ্টি দেওয়া দুঃসাধ্য। আমি ওখানকার আশ্রমসন্মিলনী থেকে অনেক প্রত্যাশা করচি । এই সম্মিলনীর যোগে ওখানকার ছাত্রদের মধ্যে একটা স্বকর্তৃত্ব ও দায়িত্ববোধ জেগে উঠচে অনুভব করে আমি মনের মধ্যে খুব একটা আশ্বাস বোধ করেছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে এই আশ্রমসন্মিলনীতে মেয়েরা আছে পদ্মপত্রে জলের মতো— তারা ওর সঙ্গে এক হয়ে যায় নি। এই কারণে সমস্ত আশ্রমের প্রতি মেয়েদের নিষ্ঠ ও দায়িত্ববোধ জাগ্রত হচ্চে না । তারা কি পেতে পারে এ কথা যতটা ভাবচে কি দিতে পারে এ কথা তত ভাবচে না । তাতে করে আশ্রমের সঙ্গে মেয়েদের প্রাণের যোগ ত্যাগের পথে সম্পূর্ণ হয়ে উঠ চেনা। এইটে আমাকে সবচেয়ে আঘাত দিয়েচে । কেননা যেদিন থেকে আশ্রমে আমি মেয়েদের স্থান দিয়েছি সেইদিন থেকেই আমার মনে এই কল্পনা ছিল যে আশ্রম রচনায় মেয়েদের ত্যাগ এবং সেবা সুন্দর এবং প্রাণবান হয়ে উঠবে। পূৰ্ব্বকালের ছাত্রীদের মধ্যে ইভা ও বাবলি হৃদয় দিয়ে আশ্ৰমকৰ্ম্মের আনুকূল্য করেচে– সেইজন্যে আজো আশ্রমের সঙ্গে তাদের সম্বন্ধ সরস ও সবল হয়ে আছে। তারা নিয়মরক্ষা সম্বন্ধেই যে কেবল সতর্ক ছিল তা নয় তারা আশ্রমের কোনো অনিষ্ট আশঙ্কা ঘট্‌লে সৰ্ব্বান্তঃকরণে ব্যথিত হয়ে উঠ ত— বারবার আশ্রম ব্যাপার নিয়ে তারা আলোচনা bペ