পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিদ্যালয়ের আদর্শগত সত্যরূপের প্রতি আমাদের অনুরাগ প্রবল হত। তাহলে নিজের কথা অনায়াসেই ভোলা যেত । কিন্তু সেটাকে দাওয়া করা যায় না। দেনাপাওনার সম্বন্ধেই দাবীদাওয়ার কড়াক্রান্তি হিসাব নিকাস চলে— কিন্তু যা দেনাপাওনার অতীত তার উপরে ব্যক্তিবিশেষের জোর খাটেন, ব্যবস্থাবিভাগের জোর খাটে না— সত্য স্বয়ং তার সমস্ত আনন্দ নিয়ে যার অস্তরে আবিভূত হন তিনি বিনাবাক্যেই সৰ্ব্বসমর্পণ করেন । সেই কথা যখন মনে ভাবি তখন একথাও স্বীকার করি যে শান্তিনিকেতনের আশ্রমের কাজকে সত্য করে তোলবার ভার আমার মতো লোকের নেওয়া [উচিত ] ছিল না । আমি ভাবুকমাত্র, আমার মনে ভাবের রূপ প্রকাশ পায়, তাতে আমার নিজেকে উৎসাহ দেয়, আমার নিজেকে আমার সহজ আরামের আয়োজন থেকে সঙ্গহীন উপলবন্ধুর পথে বের করে আনে— কিন্তু আমার নিজের মধ্যে প্রেরণাশক্তি নেই। এ শক্তি কেউ চাইলেই পায় না। এ শক্তি ঈশ্বরদত্ত। যার এ শক্তি স্বভাবত নেই তার এমন কোনো কাজের ভার নেওয়া উচিত নয় যে কাজের জন্তে বিভিন্ন চরিত্রের নানা লোকের প্রয়োজন। সেই বহুকে এক লক্ষ্য অভিমুখে প্রেরণ করা কেবল ভাবুকের কাজ নয়। অথচ ফুদৈবক্রমে কোনো এক সময়ে এই কৰ্ম্মভার আমি স্বীকার করেছি। আমি এই কাজের যোগ্য নই বলেই প্রথম দিন থেকেই নিরতিশয় দুঃখ ও বিরুদ্ধত পেয়ে এসেচি। এইজন্যেই এই কৰ্ম্মের অন্তরের দিকে যতই অভাব বেড়েচে বাইরের দিকে এর রূঢ়তা ততই কঠিন হয়েচে । ততই টাকার br®