পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্থ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চিঠিপত্র Ֆ ֆ > লাভ ক্ষতি সকলেরই অতীত। সেইখানে আসন নিতে পারলেই মানুষ বাচে, সংসারের বাচা বাচাই নয় । ভরতপুরে যাব না স্থির করেছিলুম। কিন্তু যখন কথা দিয়েছি তখন কোনোমতে কথা রক্ষা করা চাই । তাই স্থির করেছি ১৫ই মার্চে রওনা হয়ে আগ্রা দিয়ে যাব । কাছাকাছি তুই কোথাও আছিস জানতে পারলে তোকে দেখে যেতে চাই। ভবতপুরের কাজ সেরে অর্থ সংগ্রহের জন্যে আমেদাবাদ প্রভৃতি দৃষ্ট এক জায়গায় যেতে হবে। এ কাজটা আমার শরীর মনের পক্ষে অনুকূল নয়— কিন্তু এই দুঃখটাকে এড়াবার জো নেই । কিছুদিন আগে আমার ডান হাতের আঙ্গুলটায় আঘাত লেগে কিছুকাল আমার লেখা বন্ধ ছিল। কাল থেকে আঙলট মুক্তি পেয়েছে— তাই চিঠি লিখতে পারছি। ফাল্গুনের শেষাশেষি, কিন্তু মেঘ করে এমন প্রবল শীতের হাওয়া চলচে যে ঘোর শীতের সময়েও এমন হয়নি। ক্ষণে ক্ষণে টিপ, টিপ বৃষ্টি পড়চে । গরম কাপড় জড়িয়ে ঘর বন্ধ করে বসে থাকতে হয়। পশ্চিমে এখন কি রকম কে জানে, গরম কাপড় নিয়ে যেতে হবে কিনা ভেবে পাচ্চিনে । এবার আমার সঙ্গে প্রভাতকুমার যাবে, কারণ, ভিক্ষ করা সম্বন্ধে সে নির্লজ্জ। মেয়ের আগামী দোল পূর্ণিমায় কিছু নাচ গান করবার জন্যে ব্যস্ত হয়ে পড়েচে । দিমু তাদের নিয়ে রিহার্সল চালাচ্চে। ঝুনু এখনো আছে । মোটের উপরে ভালোই ছিল— এই দুর্যোগে