পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্থ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চিঠিপত্র & ○む হলে হাঙরের পাখনা, দৃশো বছরের পুরোনো ডিম, পার্থীর বাসা প্রভৃতি খেয়ে তারপরে সেগুলোকে অন্তত তখনকার মত পেটের মধ্যে ধরে রাখবার চেষ্টা করতে হত। আজ ১৪ই অগস্ট । বোধ হয় ভাদ্রমাসের সুরু, তোদের ওখানেও যথেষ্ট গুমোট পড়ে থাকবে । কিন্তু শিউলির গন্ধে বোধ হয় আকাশ ভরা– মালতীরও অভাব নেই। এখানে ফুল বড়ে একটা চোখে পড়ে না— গাছ অনেক, ফলও যথেষ্ট পাওয়া যায়। পাখী কেন যে এত কম তা বোঝা যায় ন! ৷ কদাচিৎ দোয়েল দেখা যায়। কাক নেই, কোকিল নেই। ডুরিয়ান বলে কঁঠালের মত ফল আছে, তার ভূগন্ধ জগদ্বিখ্যাত । সাহস করে খেয়ে দেখেচি । যারা এ ফল ভালোবাসে তারা বলে এই ফল ফলের রাজা। বিশ্বভুবনে আম থাকতে এমন কথা যারা বলে তাদের জেলে দেওয়া উচিত। এখানে একদল বাঙালীর সঙ্গে আলাপ হয়ে গেছে । তারা বেশ ব্যবসা জমিয়েছে । সবাই বলে এদেশে টাকা করা খুব সহজ । তুই এখন কোথায় আছিস ? তোর নতুন বাড়িতে কি গুছিয়ে নিয়েছিস ? এখন বর্ষায় মাটিতে রস আছে, বাড়ির চারদিকে বাগান করতে চাস তো গাছ লাগাবার এই সময়। আমার কোণার্কের গাছগুলোর অবস্থা কি রকম ? তাদের জন্যে মনটাতে টান পড়ে। অত্যন্ত ক্লান্ত হয়ে আছি ।