পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্থ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চিঠিপত্র t ) গত কাজ করচে । আর সেই জগৎ জোড়া আরোগ্যের কাজকে যেন একটুও কঠিন না করি—শোকদুঃখের চলাচল সহজ হয়ে যাক, প্রাতাহিক দিনযাত্রাকে বাধা না দিক — মাতুকে খুব ভালবাসতুম তা ছাড়া তোর কথা ভেবে প্রকাণ্ড দুঃখ চেপে বসেছিল বুকের মধ্যে। কিন্তু সর্ববলোকের সামনে নিজের গভীরতম দুঃখকে ক্ষুদ্র করতে লজ্জ করে। ক্ষুদ্র হয় যখন সেই শোক সহজ জীবনযাত্রাকে বিপৰ্য্যস্ত করে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। আমি কাউকে বলিনে আমাকে রাস্ত ছেড়ে দাও, সকলে যেমন চলচে চলুক, এবং সবার সঙ্গে আমিও চলদ । অনেকে বললে এবারে বর্ষামঙ্গল বন্ধ থাক,—আমার শোকের খাতিরে—আমি বললুম সে হতেই পারে না। আমার শোকের দায় আমিই নেব—বাইরের লোকে কি বুঝবে তার ঠিক মানেটা । অন্তত তাদের এইটুকু বোঝা উচিত, বাইরে থেকে কোনো রকম সাস্তুনার চিত্ন, কোনোরকম আনুষ্ঠানিক শোক একটুও দরকার নেই তাতে আমার অমর্যাদা হয়। ভয় হয়েছিল পাছে সবাই আমাকে সাস্তুন দিতে আসে, তাই কিছুদিনের জন্যে ধারণ করেছিলুম সবাইকে আমার কাছে আসতে। কিন্তু আমার সকল কাজকৰ্ম্মই আমি সহজভাবে করে গেছি । লোক দেখিয়ে কোনো কিছুই বাদ দিতে চাইনি। ব্যক্তিগত জীবনটাকেই অন্য সব কিছুর উপরে প্রত্যক্ষ করে তোলাই সব চেয়ে আত্মবিমাননা। অনেকদিন ধরে একান্তমনে কামনা করেছিলুম যে এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে যদি আমার বিশেষ বন্ধু কেউ থাকেন