পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্থ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• চিঠিপত্র ** * প্রায় রোজই বৃষ্টিবাদল গিয়েছে । কিন্তু এখানে শীত সেখানকার চেয়ে অনেক বেশি– বরফে প্রায় সমস্ত ঢাকা পড়ে আছে— কিন্তু তার উপরে যখন রোদ্দুর পড়ে তখন সে দেখতে খুব ভাল লাগে । চার দিক একেবারে ঝলমল করতে থাকে। আর্ববানায় যখন ছিলুম তখন একদিন রাত্রে খুব বৃষ্টি হয়ে গিয়ে সেই বৃষ্টির জল জমে বরফ হয়ে গিয়েছিল— রাস্তার ধারের গাছপালা যেন কঁাচ দিয়ে মুড়ে দিয়েছিল— সেই বরফের ভারে মাঝে মাঝে গাছের বড় বড় ডাল মড়মড় করে ভেঙে ভেঙে পড়ছিল । সমস্ত রাস্তার উপরে পুরু বরফ— তার উপর দিয়ে চলা শক্ত— পা পিছলে পড়ে যেতে হয়—- অনেককেই পড়তে হয়েছিল । আমি পড়বার ভয়ে সাহস করে বাড়ি থেকে বেরতেই পারতুম না। শেষকালে দ্য তিন দিন বাড়িতে কয়েদির , মত বন্ধ থেকে একদিন বেরিয়ে পড়লুম। অল্প একটু দূর গিয়েই পতন। পথে লোক প্রায় ছিল না। কেবল এক জন মাত্র পথিক আমার পিছন পিছন আসছিল। নিজের দেহভার সামলাতেই তাকে সম্পূর্ণ মনোযোগ দিতে হয়েছিল— কাজেই তার আর হাসবার সময় ছিল না। আর এক পা অগ্রসর হবার উৎসাহ আমার রইল না । সেইখান থেকেই বাড়ি ফিরলুম— তার পরে যে পৰ্য্যন্ত না বরফের পাষাণ হৃদয় সম্পূর্ণ বিগলিত হল সে পৰ্য্যন্ত আর আমার কোণের থেকে বেরই নি । এখানে আর্ববান থেকে বেরিয়ে পড়বামাত্রই ধীরে ধীরে নানাবিধ বন্ধুবান্ধব জুটচে। এখানকার একজন সুবিখ্যাত