পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্থ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{S} শাস্তিনিকেতন অগ্রহায়ণ-পৌষ, ১৩৪১ ] কল্যাণীয়াসু বুড়ি, তোরা সাতই পৌঁষে এখানে আসৰি এটা নিশ্চিত ধরেই রেখেছিলেম। তখন ক্রিস্টমাসের ছুটি পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে আর এক প্রান্তে । ছুটিতে মনকে ও দেহকে যে আনন্দ ও বিশ্রাম দেয় সেটা কাজের পক্ষেই অত্যাবশ্যক। যারা ফললোভী তারা মনে করে মনকে নিরবচ্ছিন্ন পীড়া দিয়ে যতই খাটানো যাবে ততই বেশী ফল পাওয়া সবে । কিন্তু মন তে৷ জীতাকল নয় যে তাকে যতই ঘোরানো যাবে ততই তার থেকে আটা বের হবে । মাঝে মাঝে তার বিশ্রাম ও খুসির দরকার। মই হোক ৭ই পৌষের পর হয়তো ক্রিষ্টমাস কিম্ব তার পর দিনে আমি কলকাতায় যাব তখন তোদের সঙ্গে দেখা হবে । ২৬শে তারিখে প্রবাসী বঙ্গসাহিত্যসম্মিলনীতে আমার কাজ আছে । তুই যদি বাংলায় কবিতা লিখে কিছুদিন প্রপাসতে ঠাপাতিস তাহলে তোকে সভাপত্নী করে দিতুম। তোর জন্যে এক ঝুড়ি কাশীর আমলকি পাঠিয়েছি । পেয়েছিস তো ? তোর পক্ষে ও জিনিঘটা ভালো। সকালে উঠে গোটা আষ্টেক চিবিয়ে খেয়ে এক গ্লাস জল খাওয়া হচ্চে