পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জটা পাকিয়ে গেছে, কোথাও যে গাঠ পড়েছে তখন তা জানতেও পারি নি। ওটা যদি মুদ্রাকরের মুদ্রাদোষবশত না হয়ে থাকে তাহলে অনবধানের অপরাধ স্বীকার ক’রে শোধনের দায়িত্ব নিজেকেই নিতে হবে। মুদ্রাকরে গ্রন্থকারে মিলে গ্রন্থাবলীর পাতায় পাতায় প্রমাদ য। বিকীর্ণ করা গেছে তার পরিমাণ বড় কম হবে না । কোনো ভালো অভিধান দেখো তো, বেতস বলতে বাঁশও হয়, এমন সাক্ষ্য পেয়েছি । কবিতা যখন লিখেছিলেম তখন খাগড়ার কথা ভেবেছি— শরেতে যে ভদেরকম বঁাশি হয় তা নয় কিন্তু ওর মৰ্ম্মস্থানের ফাকটুকুতে নিঃশ্বাস সঞ্চার করে সুর বের করা যায় বলে বিশ্বাস করি । কিন্তু যখন দেখা গেল বেতস বলতে শর বোঝায় না এবং অর্থমালার সর্বপ্রান্তে বেণু কথাটা পাওয়া গেল তখন বাগর্থের দ্বন্দ্ব মিটুল দেখে নিশ্চিন্ত হয়েচি । তুমি কোন কৃপণ অভিধানের দোহাই দিয়ে আবার ঝগড়া তুলতে চাও ? এখানে আছি ভালো । ইতি ২৬ বৈশাখ ১৩৩৪ তোমাদের শ্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর S e 8