পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তাই, জ্ঞানের বিষয়েও তাই। চাষ করে মানুষ অন্ন পেয়েচে বলে তার সেই পাওয়া পশুর পাওয়ার চেয়ে বড়ো । পশুর জ্ঞান সহজবোধের সীমার বাইরে বেশি দূর যায় না, মানুষের জ্ঞান সাধনা-সাধ্য জ্ঞান। সে জ্ঞান যে হেতু অসাধ্য নয় সেই হেতু সেটা পেয়েইচি, যে হেতু সাধনার অপেক্ষী সেই হেতু সেটা পাই নি । এই না পাওয়ার বাধার ভিতর দিয়ে মানুষের পাওয়ার গৌরব । ভগবানকে পাওয়া সম্বন্ধে সেই একই কথা —র্তাকে পাওয়ার সাধনার দ্বারাই পাওয়ার যোগ্যতাগৌরবে মাতুষ বড় হয়ে ওঠে । বড়ো না হয়ে উঠে কেউ বড়োকে পেতেই পারে না । অঞ্জলির মধ্যে সরোবরের জল তুলে নিতে পারে। না । আকাশ থেকে ধারা বর্ষণ হচ্চে, তোমার কাজ হচ্চে জলাশয় তৈরি করা— অর্থাৎ আকাশের জলকে নিজের বিশেষ চেষ্টার দ্বারা নিজের জল করে নেওয়া— প্রার্থনার দ্বারাই অস্তরের মধ্যে সেই জলাশয়কে বড়ো করা, গভীর করা হয় । প্রার্থনা অনেক শ্রেণীর আছে । ধন প্রার্থনা, মান প্রার্থনা, বিদ্য প্রার্থনা, পরীক্ষায় পাস করা প্রার্থনা। এ সমস্ত প্রার্থনার ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতি— বিশ্বব্যাপারের নিয়মের সঙ্গে নিজের যথার্থ ইচ্ছার যোজনার দ্বারাই এরা সফল হয় । অর্থাৎ বিশ্বশক্তির সঙ্গে আত্মশক্তির মিলন ঘটানো আবশ্যক । পৰ্ব্বত লজঘন করতে চাও, ঠিক পথে শক্তি প্রয়োগ করো। কিন্তু স্বয়ং ভগবানকে প্রার্থনা— প্রেমকে প্রেমের দ্বারাই চাওয়া— মানব ংসারেই হোক আর অধ্যাত্মলোকেই হোক প্রেমের আত্ম > X •