পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রকাশ প্রার্থনাতে— সে প্রার্থনা সাজে সজ্জায় মিষ্টবাক্যে মিষ্টব্যবহারে সাধ্যসাধনায়— অর্থাৎ আত্মত্যাগে– ভগবানের কাছেও আমাদের প্রার্থনা শুধু বাক্যে নয়, ত্যাগে কল্যাণে সে প্রার্থনা সার্থক । যাকে ভালোবাসি তাকে ফঁাকি দিই নে, কেননা সে স্থলে ফাকি দেওয়া নিজেকেই বিড়ম্বিত করে— ভগবানকে যদি ভালোবাসি তবে শুধু কথায় তাকে ফঁাকি দিতে ইচ্ছেই হবেনা, স্বভাবতই সত্যকার ত্যাগের দ্বারা তাকে প্রার্থনা করি । যদি বলে। তাকে না ভালোবেসে র্তার ভালোবাসা পাওয়া যাবে— সে তো পাচ্চই নিমেষে নিমেষে নিশ্বাসে নিশ্বাসে— তোমার অস্তিত্বের মধ্যেই তার ভালোবাসা, –কিন্তু সে পাওয়াকে নিজের দেওয়ার দ্বারা তুমি আপন করে নিতে পারলে না বলেই সে পেয়েও না পাওয়া । প্রেমের প্রার্থনার দ্বার। ভগবানের প্রেমকে আপন করা হয়, সেই আপন করাই ভগবানকে পাওয়া । ইতি ১২ অগ্রহায়ণ ১৩৩৪ তোমাদের শ্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 苓》° ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯২৮ কল্যাণীয়েষ্ণু বলাকার “শঙ্খ” বিধাতার আহবান শঙ্খ, এতেই যুদ্ধের নিমন্ত্রণ ঘোষণা করতে হয় – অকল্যাণের সঙ্গে পাপের সঙ্গে SS S