পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছাপিয়ে চরের ধান দিনে দিনে ডুবিয়ে দিচ্চে। কাচা ধানে বোঝাই চাষীদের ডিঙি নৌকো হুহু করে স্রোতের উপর দিয়ে ভেসে চলেচে । ঐ অঞ্চলে এই চরের ধানকে বলে জলি ধান। আর কিছুদিন হলেই পাকত। মনে আছে এগ্রিকালচারাল বিভাগীয় দ্বিজু রায় বিদ্রপ করেছিলেন শ্রাবণ মাসের ধানের অসাময়িকতা উল্লেখ করে । ভরা পদ্মার উপরকার ঐ বাদল দিনের ছবি “সোনার তরী” কবিতার অন্তরে প্রচ্ছন্ন এবং তার ছন্দে প্রকাশিত i) *বৈশাখ” কবিতার মধ্যে মিশিয়ে আছে শান্তিনিকেতনের রুদ্রমধ্যাহ্নের দীপ্তি। যেদিন লিখেছিলুম, সেদিন চারদিক থেকে বৈশাখের যে তপ্ত রূপ আমার মনকে আবিষ্ট করেছিল সেইটেই ঐ কবিতায় প্রকাশ পেয়েচে । সেই দিনটিকে যদি ভূমিকারূপে ঐ কবিতার সঙ্গে তোমাদের চোখের সামনে ধরতে পারতুম তাহলে কোনো প্রশ্ন তোমাদের মনে উঠত না । তোমার প্রথম প্রশ্ন হচ্চে নিম্নের ছুটি লাইন নিয়ে— ছায়ামূৰ্ত্তি যত অনুচর দগ্ধ তাম্র দিগন্তের কোন রন্ধ্র হতে ছুটে আসে । খোলা জানলায় বসে ঐ ছায়ামূৰ্ত্তি অনুচরদের স্বচক্ষে দেখেচি শুষ্ক রিক্ত দিগন্তপ্রসারিত মাঠের উপর দিয়ে প্রেতের মতো হুহু করে ছুটে আসচে ঘূর্ণ নৃত্যে, ধূলোবালি শুকনে পাতা উড়িয়ে দিয়ে। পরবর্তী শ্লোকেই ভৈরবের অতুচর এই প্রেতগুলোর বর্ণনা আরো স্পষ্ট করেচি, পড়ে দেখো । তারপরে এক জায়গায় অাছে— "ל מ צ