পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সকরুণ তব মন্ত্র সাথে মৰ্ম্মভেদী যত দুঃখ বিস্তারিয়া যাক বিশ্বপরে—— এই ফুটে লাইনেরও ব্যাখ্যা চেয়েচ । সেদিনকার বৈশাখ মধ্যাহের সকরুণতা আমার মনে বেজেছিল বলেই ওটা লিখতে পেরেচি। ধুধু করচে মাঠ, বাব করচে রোদর, কাছে আমলকি গাছগুলোর পাতা ঝিলমিল করচে, ঝাউ উঠচে নি:শ্বসিত হয়ে, ঘুঘু ডাক্‌চে স্নিগ্ধ সুরে,— গাছের মৰ্ম্মর, পাখীদের কাকলী, দূর আকাশে চিলের ডাক, রাঙামাটির ছায়াশূন্য রাস্তা দিয়ে মন্থরগমন ক্লাস্ত গোরুর গাড়ির চাকার আর্তস্বর সমস্তটা জড়িয়ে মিলিয়ে যে একটি বিশ্বব্যাপী করুণার সুর উঠতে থাকে নিঃসঙ্গ বাতায়নে একল বসে সেটি শুনেচি, অতুভব করেচি, আর তাই লিখেচি । অমিয়র চিঠিতে তুমি লিখেচ, সকালবেলাকার আলোঅন্ধকারের সময়কে প্রত্যুষ বলা হয়ে থাকে— সেই শব্দটাকে ব্যবহার করলে তার স্থলে প্রদোষ ব্যবহার করবার আভিধানিক দোষ কেটে যায়। প্রত্যুষ শব্দটা দিনরাত্রির একটি বিশেষ সময়কে নির্দেশ করে— অর্থাৎ যাকে বলে ভোর বেলা । ভোরে বা সন্ধ্যায় আলোকের অস্ফুটতায় যে একটি বিশেষ ভাব মনে আনে, প্রত্যুষ শব্দে সেটাকে প্রকাশ করা হয় না । প্রদোষ শবদটাকে আমি সেই অর্থে ব্যবহার করি এবং করব । দোষ শব্দের অর্থ রাত্রি,— প্র উপসর্গটা সামনের দিকে তর্জনী তোলে—অতএব ঐ শব্দটাকে বিশ্লেষণ করে দুই > S >