পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বলচ তুমি তার ধ্বনি শুনেচ, কিন্তু যে দিগন্তে আমি তার ঘূর্ণিগতিটাকে দেখেচি সেখান থেকে কোনো শব্দই পাই নি। বৃহৎ ভূমিকার মধ্যে তরুরিক্ত বিশাল প্রান্তরে যে চঞ্চল আবির্ভাব ধূসর আবর্তনে দেখা যায়, তার রূপ নয় তার গতিই অতুভব করি, তার শব্দ তো শুনিই নে। এ স্থলে আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার বাইরে যাবার জো নেই । ইতি ৪ কাৰ্ত্তিক ১৩৩৯ তোমাদের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর >●8 ২৭ নভেম্বর ১৯৩২ "UΤΤΑRΑΥΑΝ" SANTINIKBTAN, BENGAL. কল্যাণীয়েষ্ণু তুমি যে গানটি পাঠিয়েছ সে গানে প্রদীপ শিখায় ও কবির চিত্তে কোনো প্রভেদ আছে বলে মনে করি নে। উতল হাওয়া যাকে বলা হচ্চে সেও একান্ত বায়ব্য পদার্থ না হতে পারে । অবশ্য ব্যাপারটা আত্মজীবনীর একাংশ নয় । মানুষের একটা কাল্পনিক আত্মজীবনী আছে, সেখানে তার নানা অনুভূতির অবাস্তব লীলা । এ না থাকলে কেবলমাত্র কবিজীবনীর সংকীর্ণ পথ অনুসরণ করে গীতিকাব্য লেখা অসম্ভব । অন্তরে অনেকবার যে সব ভাব নানা উপলক্ষ্যে » २ २