পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গুলির মধ্যে অন্তত একটিতে কৈফিয়তের দাবী আছে, তার জবাবদিহী করতে আমার ধিক্কার বোধ হয় । তুমি ছাড়া আর কারো পত্রের উত্তরে কথা কইতুম না। । তোমাদের কবি অধ্যাপক বলেচেন আমি আদর্শবাদ ভাবৰাদ নিয়ে কল্পনা বিলাস করি, “প্রকৃত বৈষয়িক কৰ্ম্মক্ষেত্রে” অবতীর্ণ হইনি। মুক্ষিল ঐ প্রকৃত বিশেষণ নিয়ে । বৈষয়িক শব্দের চলিত অর্থ যদি গ্রহণ করে তাহলেও এ কথা নিশ্চিত তোমরা জানে, যে সময় ঐ কবিতাটি লিখেছিলুম সে সময়ে পুরাপুরিই বিষয় কাজে নিযুক্ত ছিলুম— এবং এ কাজে খ্যাতিও পেয়েছি। তার অনতিকাল পরে আমি পল্লীর কাজে শিক্ষার কাজে আমার অর্থ আমার স্বাস্থ্য আমার সংসার ভাসিয়ে দিয়েছি । বাংলা দেশ ছাড়া অন্ত্য সকল দেশের লোকই এ খবর ভালো করে জানে। বাঙালীর মুখে অনেক বার শুনেছি আমি কেবল কবিত্বই করে থাকি— তার কারণ তুর্ভাগ্যক্রমে আমি বাংলা দেশে জন্মেছি। যা স্থপ্রত্যক্ষ তাকেও যারা চোখে দেখতে পায় না তাদের সেই অন্ধতার মূলে যে চিত্তবৃত্তি আছে তার সঙ্গে বোঝাপড়ার চেষ্টা করাই ভুল । আজ ৩৫ বৎসরের তুঃসহ দুঃখে ও তুঃসাধ্য অধ্যবসায়ে যা আমি আমার প্রদেশবাসীদের দেখাতে পারি নি আজ তা প্রমাণের চেষ্টা করে কী হবে । ২ । যে-প্রাণলক্ষ্মীর সঙ্গে ইহজীবনে আমাদের বিচিত্র সুখ দুঃখের সম্বন্ধ মৃত্যুর রাত্রে আশঙ্কা হয় সেই সম্বন্ধবন্ধন ছিন্ন করে বুঝি আর কেউ নিয়ে গেল । যে নিয়ে যায়, > a 8