পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈকুণ্ঠের লক্ষ্মী নয়, সে স্বর্গের নর্তকী, দেবলোকের অমৃতপানসভার সখী । দেবতার ভোগ নারীর মাংস নিয়ে নয় নারীর সৌন্দর্য্য নিয়ে । হোক না সে দেহের সৌন্দর্য্য, কিন্তু সেই তো সৌন্দর্য্যের পরিপূর্ণতা । স্মৃষ্টিতে এই রূপ-সৌন্দর্য্যের চরমত মানবেরই রূপে । সেই মানবরূপের চরমতাই স্বগীয়। উৰ্ব্বশীতে সেই দেহসৌন্দর্য্য ঐকান্তিক হয়েছে, অমরাবতীর উপযুক্ত হয়েচে । সে যেন চির যৌবনের পাত্রে রূপের অমৃত— তার সঙ্গে কল্যাণ মিশ্রিত নেই। সে অবিমিশ্র মাধুর্য্য। কামনার সঙ্গে লালসার পার্থক্য আছে । কামনায় দেহকে আশ্রয় করেও ভাবের প্রাধান্ত্য, লালসায় বস্তুর প্রাধান্ত । রসবোধের সঙ্গে পেটুকতার যে তফাৎ এতেও সেই তফাৎ । ভোজনরসিক যে, ভোজ্যকে অবলম্বন করে এমন কিছু সে আস্বাদন করে যাতে তার রুচির উৎকর্ষ সপ্রমাণ করে । পেটুক যে, তার ভোগের আদর্শ পরিমাণগত, রসগত নয়। সৌন্দর্য্যের যে আদর্শ নারীতে পরিপূর্ণতা পেয়েছে যদিও তা দেহ থেকে বিশ্লিষ্ট নয় তবুও তা অনিৰ্ব্বচনীয়। উৰ্ব্বশীতে সেই অনিৰ্ব্বচনীয়তা দেহধারণ করেচে সুতরাং তা এবৃক্ট্র্যাক্ট নয় । মানুষ সত্যযুগ এবং স্বর্গ কল্পনা করেছে। প্রতিদিনের সংসারে অসমাপ্তভাবে খণ্ডভাবে যে পূর্ণতার সে আভাস পায়, সে যে এবৃস্ট্যাক্টভাবে কেবলমাত্র তার ধ্যানেই আছে কোনোখানেই তা বিষয়ীকৃত হয় নি একথা মানতে তার ভালো লাগে না । তাই তার পুরাণে স্বর্গলোকের অবতারণ। যা আমাদের )a"