পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিচয় পেতুম না । কিন্তু ওর বিষয়বস্তুটা তুৰ্ব্বোধ মনে হোলো না । 興 জীবনে যখন কোনো বড়ো শোক আসে তখন মনে করতে পারি নে কালে তার ক্ষয় হতে পারে । নিজের কাছে নিজের শোকের একটা অভিমান আছে। এত তীব্ৰ বেদনাও যে কোনো চিরসত্যকে বহন করেন। সে কথাটাকে আমরা সাম্বনাস্বরূপে গ্রহণ করিনে, তাতে আমাদের দুঃখের অহংকারে আঘাত লাগে । জীবনটা থাকে কালের চলাচলের পথে, তার বিশ্রামহীন চাকার তলায় গুরুতর বেদনার চিহ্নও জীর্ণ হয়ে । অস্পষ্ট হয়ে আসে। আমাদের কাছে প্রিয়জনের মৃত্যুর একটিমাত্র দাবি, সে বলে মনে রেখো । কিন্তু প্রাণের দাবি অসংখ্য, মনকে সে অহোরাত্রি নানাদিক থেকেই আকর্ষণ করতে থাকে – দাবির সেই উপস্থিত ভিড়ের মধ্যে মৃত্যুর একটিমাত্র আবেদন টিকতে পারেন। মনে যদি থাকে স্মৃতির ব্যথা যায় ক্ষীণ হয়ে। কিন্তু শোকের অভিমান জীবনকে বঞ্চিত করে ও শোককে ধরে রাখতে চায় । চারিদিকের দরজা বন্ধ করে দেয়, প্রাণের দূতগুলিকে বলে দেয় not at home । প্রাণ আপন বিচিত্র ফসলের ক্ষেতকে উবর্বর করে রাখতে চেষ্টা করে কিন্তু শোক অভিমানী তার মাঝখানে একটা শোকোত্তর জমি রাখতে চায় সেইটেতে সাধের মরুভূমি বানায় । মৃত্যুর সঞ্চয় নিয়ে কালের বিরুদ্ধে তার মকৰ্দমা । ভিতরে ভিতরে ক্রমেই হারতে থাকে কিন্তু হার মানাতে চায়ন লেখক বলচে হার মানাই ভালো । মনকে নিজকৃত কবরে >W28