পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>>" ১৩ মে ১৯৩৮ “UTTARAYAN" SANTINIKETAN, EE NGA L. ^. কল্যাণীয়েষ্ণু , নিজের অন্তরের জিনিষকে বাহিরের ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণের মধ্যে দেখতে অস্তুত লাগে। তখন সেটাকে পরিচয়ের দৃষ্টি থেকে দেখি নে, দেখি কৌতুহলের দৃষ্টিতে। অনেকদিন বেঁচে আছি তাই আমার রচনার আরম্ভ অংশ প্রাগিতিহাসের কোঠায় পড়ে গেছে— বর্তমান ইতিহাসের সঙ্গে তার নাড়ীর যোগ ক্ষীণ হয়ে এসেছে । স্বয়ং বিধাতা তার সেকালের সৃষ্টিতে লজ্জিত, নইলে আজ মানুষ জন্মাত না, সঙ্কোচে তিনি আদি জীবস্মৃষ্টির চিহ্ন চাপা দিয়েছেন মাটির নিচে । বৈজ্ঞানিক গুপ্তচর তার স্মৃষ্টির আক্ৰ নষ্ট করতে উদ্যত । আমার কাব্যেরও সেই দশা । দ্রৌপদীর -লজ্জা শ্ৰীকৃষ্ণ রক্ষা করেছিলেন, আমার কবিতার লজ্জা তোমরা রাখলে না । বনফুল বইখানার জন্যে ততটা ক্ষোভ নেই, কেননা সেটা সত্যিই কাচা । কিন্তু কবি কাহিনীতে ভগ্নহৃদয়ে অল্পস্বল্প পাক ধরেছে, এই জন্যেই ওদের কৃত্রিম প্ৰগল্‌ভতাকেই বলা যায় জ্যাঠামি । সদরে তার প্রদর্শনীটা ভালো নয় । তখনকার কালে এই কাচা পাকার অবস্থা ছিল বাংলা দেশের সর্বত্রই— এই জন্যেই কবিকাহিনী পড়ে কালীপ্রসন্ন ঘোষ উদীয়মান কবির জয়ধ্বনি করেছিলেন, ভগ্নহৃদয় পড়ে ত্রিপুরার বীরচন্দ্র মাণিক্য বালক কবিকে সম্মান ``