পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জানাবার জন্যে তার বৃদ্ধমন্ত্রীকে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। বাংলা দেশের সেই বাল্যলীলার পর্ব ঘুচেছে, কিন্তু অনেকখানি আছে স্ত্ৰৈণতা, মা বলতে সে অজ্ঞান, আর প্রিয়ার তো কথাই নেই । আজুরে সাহিত্য, তাতে মেয়ের প্রশ্ৰয়ই বেশি, বেশ একটু আর্দ্রভাবের সেন্টিমেন্টালিটি। বাল্যযুগের পরবর্তী আমার সাহিত্যে ( বিশেষত সন্ধ্যাসঙ্গীত আদিতে ) সেই স্যাৎসেঁতে ভাব রোগের মতো লেগে অাছে। অাছে তাতে সাধারণের দরদ পাবার আগ্রহ । সেট। ক্রনিক হয় নি এই আমার রক্ষা, নইলে কোনকালে সেই রুগ্ন কাব্যের নাড়ী ছেড়ে যেত। তুমি তার সেই সেকালের সদি-ধর গদগদ বাণীকে যখন কিছুমাত্র খাতির করেছ, তখন আমি কুষ্ঠিত হয়েছি। অনেক চেষ্টা করেছিলুম কিন্তু তোমাদের ঠেকানো যায় না। যে অবলা প্রাণী ঝোপের ভিতরে লুকিয়ে বঁাচতে চায়, শিকারীর আনন্দ তাকেই লক্ষ্য করতে । লাগিয়েছ ফাস, এনেছ টেনে । যা হোক ভাগ্যক্রমে সেই আদ্যযুগই আমার অন্তিম যুগ হয় নি। তাও জোর করে বলা যায় না। আধুনিক যুগীয় জীবের অমাতুষিক মোটা মোট দাত উঠেচে দেখে ভয় লাগে, তাদের পাতে লেহ চোষ্য তো চলবেই না, ভদ্ররকম চর্ব্যও নয়— রাঢ়ভাবে তাদের শ্বানীন (?) দন্ত ( canine teeth ) দিয়ে প্রচণ্ড ভঙ্গীতে ছিড়ে খাবার জিনিষ তার। পছন্দ করবে বলে মনে হয় । আমরা যে স্থপক জিনিষের ভোজকে সভ্যমানবোচিত মনে করে এসেছি তার প্রতি অবজ্ঞা করে ওর হাসবে, বলবে অতিসভ্যতা মানুষের দাত S 8 o