পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৰ্য্যন্ত সেই মিলন সম্পূর্ণ না হয়, আমাদের প্রবৃত্তিগুলি বহির্মুখী হইয়া না আসে, ততক্ষণ পর্য্যন্ত তাহারা আমাদের মধ্যে নানাপ্রকার পীড়ার সৃষ্টি করে— নিখিলের মধ্যে তাহারা বাহির হইয়া আসিলেই সকল পীড়ার অবসান হয় । অতএব যখন আমরা পীড়া অতুভব করি তখন আমরা যেন না মনে করি এই পীড়াই চরম— ইহা মুক্তির বেদনা— একদিন যাহা বাহিরে আসিবার তাহ বাহিরে আসিবে এবং পীড়া-অবসান হইবে— ‘কুঁড়ির ভিতরে কাদিছে গন্ধ অন্ধ হয়ে কবিতাটির ভিতরকার তাৎপৰ্য্য আমার কাছে এইরূপ মনে হয় । সেইজন্য উহার নাম দিতেছি ‘মুমুক্ষু" । নামটা কিছু কড়া গোছের বটে— যদি অন্য কোনো সুশ্রাব্য নাম মনে উদয় হয় তবে চয়নিকার প্রকাশককে জানাইয়া দিয়ো । 8 به ده لا ] একরকম অতুবাদ আছে যাহা রূপ হইতে প্রতিরূপ আকার মত— তাহাতে কেবল চেহারাটা দেখা যায় কিন্তু সে চেহারা কথা কহে না— অর্থাৎ তাহাতে খানিকটা পাওয়া যায় কিন্তু অধিকাংশই বাদ পড়ে। তোমার এই অতুবাদগুলি যেন জন্মান্তরপ্রাপ্তি— আত্মা এক দেহ হইতে অন্য দেহে সঞ্চারিত হইয়াছে— ইহা শিল্প কার্য নহে সৃষ্টি কার্য । বাঙ্গলা সাহিত্যে তোমার এই অনুবাদগুলি প্রবাসী নহে, ইহারা অধিবাসীর সমস্ত অধিকারই পাইয়াছে— ইহাদিগকে পূর্ব নিবাসের পাস Σ ( 8