পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাসরঘরের যে দৃপ্ত বর্ণনা করা হয়েছে, তা কবির কাব্যের সৌন্দর্য্যভাণ্ডারের ছবি । ৩ । উৎসর্গের অন্তর্গত প্রবাসী নামক কবিতায় কবি বলেছেন— মনে হয় যেন সে-ধূলির তলে যুগে যুগে আমি ছিমু তৃণে জলে, সে-তুয়ার খুলি’ কবে কোন ছলে । বাহির হয়েছি ভ্রমণে । আবার কবি বলেছেন— ! এ সাত-মহলা ভবনে অামার, চির-জনমের ভিটাতে স্থলে জলে অামি হাজার বাধনে বাধা যে গি*ঠাতে গি*ঠাতে । কিন্তু এর মাঝখানেই আবার বলছেন— লক্ষ যোজন দূরের তারক। মোর নাম যেম জানে সে । যদি কবির সঙ্গে ধরণীর তৃণ জল ধূলার যোগ অনাদি কাল থেকে থেকে— থাকে, তবে আবার তারকার সঙ্গে যোগ থাকে কেমন ক’রে ? ৪ । গীতাঞ্জলির অন্তর্গত ভারততীর্থ কবিতায় আছে— এই ভারতের মহা-মানবের সাগর-তীরে । মহ-মানবের সাগর-তীরে চিত্ত জাগ্রত হবে, তাতে মহাসাগরের সঙ্গে তো ওত:প্রোত [ ওতপ্রোত ] যোগ হবে না। ৫ । উৰ্ব্বণী কবিতায় মুনিগণ ধ্যান ভাঙি দেয় পদে তপস্যার ফল মানে কি ? মুনিরা সৌন্দর্য্যের প্রলোভনে তপঃভ্রষ্ট হয়, অথবা যে-কেউ তপস্যা করছে কিছু প্রকাশ করবার স্থষ্টি করবার লাভ করবার, সে তা চরমসুন্দর ক’রে প্রকাশ করতে চায় ? মোহিত-বাৰু বলেন যে এই উৰ্ব্বশী وی ۹۹ نه