পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হে স্বদেশব্রত, স্বদেশ-আত্মার বাণী-মুক্তি তুমি । তুমি এই সোনার বাংলাকে ভালোবাসিয়াছ, তুমি ভারতের ভূবনমনোমোহিনী রূপকে বন্দন করিয়াছ। আবার তুমিই কাহারও প্রতি বিদ্বেষ না রাখিয়। মাতৃভূমিকে ভালোবাসিতে শিখাইয়াছ, মাতার কাছে সকল সস্তানই সমান সমাদরের যোগ্য এবং মাতার কোলের কাছে হিংসা দ্বেষ অশোভন— এই মহাসত্য তুমিই প্রচার করিয়াছ। দেশকে তুমি সত্য করিয়া চিনিতে শিখাইয়াছ, পরের দ্বারে ভিক্ষায়াং নৈব নৈব চ বলিয়া আত্মচেষ্টা ও আত্মশক্তির উদ্বোধনের দ্বারা কৰ্ম্মের ভিতর দিয়া স্বদেশের সেবা করিতেও তুমিই শিখাইয়াছ। হে সাত্ত্বিক স্বদেশহিতৈষী, তুমি অপরের অন্যায়ে বজ্ৰকণ্ঠে বিদ্রোহ ঘোষণা করিয়াছ, আবার স্বদেশের অন্যায়ে তীব্র ভাষায় তিরস্কার করিয়াছ । অন্যায় যে করে ও অন্যায় যে সহে তাহদের উভয়ের উপরেই রুদ্রের বজ্রাভিসম্পাত তুমি প্রার্থনা করিয়াছ। তুমি আমাদিগকে সেই সাহস দাও যাহাতে আমরাও তোমার স্যায় অন্যায়কে অনায়াসে অন্যায় বলিয়। ঘোষণা করিতে পারি ; সেই শক্তি দাও যাহাতে আমরা যাহা ন্যায় বলিয়া মনে করি তাহ অকুষ্ঠিত সাহসে পালন করিতে পারি। তুমি আমাদিগকে সেই প্রেরণা দাও যাহাতে আমরা সত্য শিব ও সুন্দরকে আমাদের জীবনে বরণ করিয়া লইতে পারি। হে কবি, বঙ্গভারতীকে তুমি বিশ্বভারতীতে পরিণত করিয়াছ; বঙ্গভারতীর বীণার তন্ত্রে ষে অনন্ত সম্ভাবনা প্রচ্ছন্ন হইয়া ছিল, তাহা তুমি বিচিত্র মূর্ছনায় প্রকাশিত করিয়া তুলিয়াছ। তোমারই রঙ্গমল্পী বীণার আলাপ শুনিবার জন্য চির-উবার ও চির-তুষারের দেশ হইতে চিরউষর দেশ পৰ্য্যস্ত উৎসুক হইয়া আছে, তুমি যাহা শুনাইয়াছ তাহাতে বিশ্ববাসী মুগ্ধ ও পরিতৃপ্ত হইয়াছে। তোমারই জন্য বাঙালী আজি গানের রাজা বাঙালী নহে খৰ্ব্ব, এবং বিশ্বকবিসভায় আমরা তোমারই করি গৰ্ব্ব ! হে রবিকবি, আকাশের যে রৰি তোমার মিতা তাহার >b"