পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ময়মনসিংহে রবীন্দ্র-জয়ন্তী উপলক্ষে প্রদত্ত বক্তৃতার সারাংশ রবীন্দ্র-পরিচয় আমি যখন সাবেক হিসাবে স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ি, তখন আমার বয়স বড় জোর বারো বৎসর হবে । আমি সেই বয়সে আর সেই বিদ্যা নিয়ে তখনকার সকল বড় সাহিত্যিকের বই পড়ে শেষ করেছিলাম । বঙ্কিমবাবুর সকল উপন্যাস, মাইকেল, হেম, নবীন প্রভৃতি কবির কাব্য, দীনবন্ধু, গিরিশ ঘোষ, রাজকৃষ্ণ রায় প্রভৃতির নাটক আমি পেটুক ছেলের মতনই গিলেছিলাম। বঙ্কিমবাবুর ‘সীতারাম’ উপন্যাস সদ্যঃ প্রকাশিত হ’লে আমার সেখানি পড়বার আগ্রহ এমন প্রবল হয়েছিল যে দোকানে বই কিনতে যাবার বিলম্ব আমার সয়নি ; বঙ্কিমবাবুর বাড়ীর কাছেই আমরা থাকৃতাম ; তাই তাড়াতাড়ি আমি স্বয়ং বঙ্কিমবাবুর কাছে বই কিনতে গিয়ে তার ধমক খেয়ে এসেছিলাম, এবং তিনি যদিও আমাকে বলেছিলেন যে, এ বই তো তোমার মতন ছেলেমামুষের পড়বার নয়, তবু আমি তার বাড়ী থেকে বেরিয়েই দোকান থেকে সেই বই কিনে পড়ে তবে নিশ্চিস্ত হ’তে পেরেছিলাম। আমার বই পড়ার জন্য এই রকম লোভ থাকা সত্ত্বেও অামি রবীন্দ্রনাথের কোনো বই বা রচনা বি.এ. ক্লাসে পড়ার অাগে পড়িনি, এমন কি রবীন্দ্রনাথ নামে যে একজন কবি আছেন এ সংবাদও আমার কাছে পৌছেনি । বাংলা ১৩০১ সালের বৈশাখ মাসে, ইংরেজী ১৮৯৩ সালে, বঙ্কিমবাবুর মৃত্যুতে কলকাতায় ষ্টার থিয়েটারে একটি শোকসভা হয়। তখন আমি ফাষ্ট ক্লাসে পড়ি। বঙ্কিমবাবুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা থাকাতে আমি সেই সভায় উপস্থিত হই, যদিও তখন আমার পায়ের নখে একটা ঘা হ’য়ে আমি এক রকম পঙ্গু হয়েই ছিলাম। সেই সভায় বঙ্কিমবাবুর প্রতিভা সম্বন্ধে প্রবন্ধ পাঠ করেন রবীন্দ্রনাথ, আর সভাপতি ছিলেন গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়। সেই দিন আমি রবীন্দ্রনাথকে প্রথম দেখলাম, এবং তার মধুর 'bూని