পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সেই সময় কালীপ্রসন্ন কাব্যবিশারদ হেরম্ব মৈত্র মহাশয়ের পত্নীর অপমানস্বচক লেখা প্রকাশ ক’রে অভিযুক্ত হয়েছিলেন। গান্ধারীর উক্তির মধ্যে আমরা রবিবাবুর ধিক্কার অনুমান ক’রে অত্যন্ত আনন্দ অনুভব করেছিলাম, যখন শুনলাম রবিবাবু গান্ধারীর জবানী বলছেন— পুরুষে পুরুষে দ্বন্দ্ব স্বার্থ ল’য়ে বাধে অহরহ,– ভালো মন্দ নাহি বুঝি তার,— দগুনীতি ভেদনীতি কুটনীতি কত শত,– পুরুষের রীতি পুরুষেই জানে। বলের বিরোধে বল, ছলের বিরোধে কত জেগে উঠে ছল, কৌশলে কৌশল হানে— মোরা থাকি দূরে আপনার গৃহ কর্মে শাস্ত অস্তঃপুরে । যে সেথা টানিয়া অানে বিদ্বেষ-অনল বাহিরের দ্বন্দ্ব হ’তে,—পুরুষেরে ছাড়ি’ অস্তঃপুরে প্রবেশিয়া নিরুপায় নারী গৃহধর্মচারিণীর পুণ্যদেহ পরে কলুষ পরুষ স্পর্শে অসম্মানে করে হস্তক্ষেপ,— পতি সাথে বাধায়ে বিরোধ যে-নর পত্নীরে হানি লয় তার শোধ, সে শুধু পাষও নহে, সে যে কাপুরুষ ! এই নাটিকা পাঠ শেষ হ’লে গুরুদাসবাবু হেমেন্দ্রপ্রসাদবাবুকে দিয়ে রবিবাবুকে ধন্যবাদ দেওয়ালেন। হেমেন্দ্রবাবু প্রথমে কিছুতেই সম্মত হচ্ছিলেন না, শেষে গুরুদাসবাবুর পীড়াপীড়িতে বাধ্য হ’য়ে ধন্যবাদ দিলেন, সে যেন বেহুলার অনুরোধে চাদ সদাগরের হাতে মনসাদেবীর পূজা পাওয়া । Σ) δΨΟ > 8 > ○