পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সে স্নেহ উপহার রুচে না মুখে আর । সে যে আমার জননী রে । সেই সভায় অনেক বিলাতফেরত ইঙ্গবঙ্গ না-ইংরেজ না-বাঙালী গোছের বিদেশী পোষাক-পরা ও বিদেশী ভাষায় কথা বলার চেষ্টত লোক ছিলেন, তাদের অবস্থা দেখে আমরা তখন অত্যস্ত সুখ অনুভব করেছিলাম। অামাদের মনে হচ্ছিল তারা যেন স্বদেশভক্ত কবির তীব্র তিরস্কারে লজ্জিত হ’য়ে নিজেদের গায়ের বিদেশী পোষাক গা থেকে ঝেড়ে ফেলতে পারলে বাচেন । ‘গান্ধারীর আবেদন মাটিকাটির মধ্যে আমরা সাময়িক ইতিহাসের ছায়াপাত দেখতে পেয়ে অত্যন্ত আনন্দ অনুভব করেছিলাম। তখন আমাদের মনে হয়েছিল ধৃতরাষ্ট্র হচ্ছেন ব্রিটিশ পার্লামেণ্ট, দুৰ্যোধন Bureaucracy, oftoff our gifs: giafé (British sense of Justice ), stoo British prestige, vii soil offixবঞ্চিত ভারতবাসী এবং দ্রৌপদী ধর্মপথে চলার শাস্তি ও গৌরব ! এর পরে তখনকার লেফটেনাণ্ট গভর্নার উড় বার্ন সাহেব একবার ইউনিভার্সিটি ইনষ্টিটিউটের সকল মেম্বরকে তার বেলভিডিয়র প্রাসাদে নিমন্ত্রণ করেন। সেই দিন রবিবাবু স্বশুভ্র ঢাকাই মসলিনের একটি প্রচুর কুঁচি-দেওয়া ঘাঘরার মতন মুসলমানী জামা নামক একটি জোব্বা গায়ে দিয়ে ও পাঞ্জাবী নাগরা জুতা পায়ে দিয়ে গিয়েছিলেন। সেদিন তাকে কেমন দেখতে হয়েছিল তা তারা বুঝতে পারবেন যারা বাংলার ইতিহাসে ইংরেজ আমলের পূর্বের নবাবদের ছবি দেখেছেন। সেইদিন হেমেন্ত্রবাবুও গিয়েছিলেন, রবিবাবু তাকে কাছে ডেকে আলাপ করেন, এবং যখন ফটো তোলা হয় তখন হেমেন্দ্রবাবু বেছে বেছে রবিবাবুরই পাশে দাড়িয়ে ছবি তোলান। আমি তখনো রবিবাবুর কোনো বই চোখেও দেখিনি। আমি ১৯৫ ।