পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্যাগ ক’রে গেছেন ব'লে কবি ১৩০২ সালে বিলাপ করেছিলেন । কিন্তু তার পরে হাজার গান রচনা করেছেন অার হাজার খানেক কবিতাও লিখেছেন । ১৩১২ সালে আমি “নৈঠিক ব্রহ্মচারী” নামে একটি গল্প লিখে প্রকাশ করৰার জন্য ‘প্রবাসীতে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। রামানন্দবাবু গল্পটি ফেরৎ দিয়ে অনুরোধ করলেন গল্পটির আয়তন সংক্ষেপ ক’রে দিলে ছাপা হ’তে পারবে। দীনেশবাবু আমাকে তার সঙ্গে পরিচয় অবধি খুব স্নেহের চক্ষে দেখতেন। তাকে ঐ গল্পটির কথা বলতে তিনি বললেন—“তুমি ঐ গল্পটি রবিবাবুর কাছে পাঠিয়ে দাও, আর তাকেই বলে সংক্ষেপ ক’রে দিতে ।” 岛 দীনেশবাবুর পরামর্শ অনুসারে তার নাম করেই গল্পটি রবিবাবুর কাছে পাঠিয়ে দিলাম। তিনি তখন শিলাইদহে। তিনি আমাকে লিখলেন, তিনি শীঘ্রই কলকাতায় ফিরে আসছেন, তখন র্তার সঙ্গে জোড়াশাকোর বাড়ীতে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি মোকাবেলায় আমার সঙ্গে আমার গল্প সম্বন্ধে আলোচনা করবেন। একদিন প্রাতে রবিবাবুর জোড়াশাকের নূতন লাল বাড়ীতে গেলাম। নীচে পূর্বদিকের কোণের ঘরে তিনি বসে ছিলেন, আর সেখানে ছিলেন —ঐযুক্ত দীনেশচন্দ্র সেন, মোহিতচন্দ্র সেন, প্রিয়নাথ সেন প্রভৃতি । আমি নমস্কার ক’রে রবিবাবুর ডান দিকে ফরাসের একপ্রাস্তে বসলাম । তখন বঙ্গদর্শনে রবিবাবুর ‘চোখের বালি শেষ হয়ে নৌকাডুবি বাহির হচ্ছে। তার সম্বন্ধেই কথা চলছিল। আমি যখন গেলাম তখন শুনলাম দীনেশবাবু বলছেন– “আপনি তো দুটি মেয়ে এনে উপস্থিত করেছেন । ওদের কার সঙ্গে শেষকালে রমেশের প্রণয় প্রবল হবে ? দুজনের মধ্যে রমেশকে ফেলে যে গোলমালের স্বষ্টি করলেন, তা থেকে উদ্ধার পাবেন কেমন ক’রে।” । রবিবাবু হেসে বললেন—“আমি তো ত কিছুই জানি না যে রমেশ ૨ ૦ 8