পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছিলেন । আমি ক্ষিতিমোহনের কাছে আগে গিয়ে পরে তার কাচে এসেছি এই নিয়ে আমাকে ঠাট্টা করে বললেন—“ক্ষিতিমোহনের মোহ এতক্ষণে কাটুল।” আমি লজ্জিত হয়ে তাকে প্রণাম ক’রে র্তার কাছে বসলাম । তিনি তখন শাস্তিনিকেতনে শালবীথির ধারে মাঠে একথান। তক্তপোষের উপর একলা ব’সে ছিলেন । অল্পক্ষণ পরে ক্ষিতি এসে আমার পাশে ব’সে বললেন—“চারু, চলো বেড়াতে যাই ।” কবি হেসে বললেন—“ই, যখনি চারুচন্দ্র ক্ষিতি আর রবির মাঝখামে পড়েছেন, তখনই জানি যে রবির গ্রহণ লাগবে ।” ক্ষিতিমোহন আমার আশা ত্যাগ করে পলায়ন করতে করতে ব’লে গেলেন—“মা না, আমি চারুকে নিয়ে যেতে চাইনে, ও আপনার কাছেই থাক ।” ‘শারদোৎসব’ নাটক সদ্যঃ লেখা হয়েছে, শাস্তিনিকেতনে ছাত্রশিক্ষকে মিলে তার অভিনয় করবেন, তার আগে বইখানি শোভন রূপে ছেপে প্রকাশ করবার জন্য আমার ডাক পড়েছে। কবি বই পড়ে আমাদের শোনালেন । কথা হলো যে প্রারম্ভে একটি মঙ্গলাচরণ দিতে হবে। কবি অনুরোধ করলেন, শাস্ত্রী মহাশয় একটা সংস্কৃত মঙ্গলাচরণ লিখে বা বেদ থেকে খুঁজে দেবেন। আমি বললাম—“র্যার লেখা বই সেই কবিই মঙ্গলাচরণ লিখবেন, আর কারে। অনধিকার প্রবেশ এখানে খাটুবে না।” কবি হেসে বললেন—“আমার প্রকাশকের তো বড় কড়া শাসন দেখি। তা তোমরা যদি আমাকে এখন ছুটি দাও তাহলে একবার চেষ্টা করে দেখতে পারি যে আমার প্রকাশকের হুকুম তামিল করিতে পারি কি না ।” তিনি নিজের ঘরে চ’লে গেলেন । অাধ ঘণ্টা পরে ফিরে এলেন— গান তৈরী ও স্বর সংযোজনা সব হয়ে গেছে। সে গানটি শারদোৎসবের প্রথমেই আছে— Հ օ Եր