পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লক্ষ্য ক’রে লিখেছিলেন— ভক্ত করিছে প্রভুর চরণে জীবন সমর্পণ, ওরে দীন তুই জোড় কর করি কর তাহা দরশন। মিলনের ধারা পড়িতেছে ঝরি, বহিয়া যেতেছে অমৃতলহরী, ভূতলে মাথাটি রাখিয়া, লহ রে শুভাশিস্-বরিষণ । ভক্ত করিছে প্রভুর চরণে জীবন সমপণ । ওই যে আলোক পড়েছে তাহার উদার ললাটদেশে, সেথা হতে তারি একটি রশ্মি পড়ুক মাথায় এসে । বোলপুরেও আমি তাকে এমনি ধ্যানরত অনেকদিন দেখেছি। তখন তিনি শান্তিনিকেতন’ নামক পুস্তকাবলীতে প্রকাশিত উপদেশাবলী প্রতি সপ্তাহে মন্দিরে বলতেন আর প্রত্যহ প্রত্যুষে মন্দিরের পূর্বদিকের বারান্দায় বসে ধ্যানস্থ হতেন, এবং মুখে রোদ এসে না পড়া পর্যস্ত র্তার ধ্যানভঙ্গ হতে না । ‘গীতাঞ্জলি’ রচনার সময় অামি লক্ষ্য করেছি তিনি কথা বলতে বলতে হঠাৎ যেন সংসার থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন ক’রে নিয়ে গভীর ধ্যানে নিমগ্ন হ’য়ে যেতেন। কোনো এক উৎসব উপলক্ষে আমরা বহু লোকে বোলপুরে গিয়েছিলাম। খুব সম্ভব ‘রাজা’ নাটক অভিনয় উপলক্ষে । বসন্তু কাল, জ্যোৎস্ন রাত্রি। যত স্ত্রীলোক ও পুরুষ এসেছিলেন র্তাদের প্রায় সকলেই পারুলডাঙ্গা নামক এক রম্য বনে বেড়াতে গিয়েছিলেন। কেবল আমি যাইনি রাত জাগবার ভয়ে। রাত্রিতে আমার 었》》