পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কণ্ঠস্বর শুনে ঘুম ভেঙে গেল—“চারু, তুমি ঘুমিয়েছ ?” অামি ধড়মড় ক’রে উঠে পড়লাম, এবং মশারির দড়ি ছি*ড়ে ফেলে তাড়াতাড়ি মশারি সরিয়ে কবিগুরুকে বসবার জায়গা ক’রে দিলাম। তিনি আমাকে বললেন—“চারু, তুমি ঠিকই বলেছ, ঐ গানটার কোনো মানেই হয় না, আমি প’ড়ে দেখি যে আমি নিজেই তার মানে ৰূঝতে পারি না, কি ভেবে যে লিখেছিলাম তা এখন আর ধবৃতেই পারি না । সেটাকে বদলে এনেছি, দেখে তো এটার কোনো মানে হয় কি না।” আগের গানটি কেটে সেই কাগজে সেই গানের পাশে নৃতন ক’রে অীর একটি গান লিখে এনেছেন, কেবল আমাকে তিরস্কার করায় আমি ক্ষুন্ন হয়েছি ভেবে আমাকে সাস্বনা দেবার সেটি যে কৌশল মাত্র তা আমার বুঝতে বাকী রইল না। আমার মনের ক্লেশ দূর করবার জন্য নিজের ক্রটি স্বীকার ক’রে এত রাত্রি পর্যন্ত জেগে থেকে আবার একটি নূতন গান রচনা করেছেন। ঘড়ীর দিকে তাকিয়ে দেখলাম তখন ১১ট। বেজে গেছে । o: নিম্নে প্রথম লিখিত কবিতাটি তার সংশোধন সমেত দিলাম এবং তার পরে পরিবর্তিত ও গীতালি' পুস্তকে প্রকাশিত কবিতাটিও তার সকল সংশোধন সমেত দিলাম— কেন অার মিথ্য অtশ। বারে বারে হাত ধরে ওরে তোর সঙ্গে যে কেউ যাবে না রে , এ তোমার রাত্রিশেষের ভোরের পাখী তোমারেই একলা কেবল গেল ডাকি, যা রে তুই বিজন পথে চলে যা রে । ૨ છે 8