পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রক্ষার চেষ্টা আমি আর কম্মিন কালেও দেখিনি। তার পর ঐ একরত্তি কচি মেয়ে তাকে দিয়ে নাকি সুরে আমাকে শুনিয়ে না দিলেও অামার জানা ছিল ষে উবু মরি"র্তে হবে।” রবিবাবু বুদ্ধগয়ায় পাণ্ডার অতিথি হয়ে বুদ্ধগয়াতে অবস্থান করছিলেন। তার বাসায় একদিন নন্দলাল ব’লে এক ভদ্রলোক এসে বরাবর’ পাহাড় দেখে যাবার জন্য বিশেষ অনুরোধ করতে লাগলেন। তিনি আশ্বাস দিলেন যে তিনি সেখানকার এক জমিদারের প্রধান কর্মচারী, তিনি সেখানে থাকৃবার তাবু যান বাহন আহারাদির সমস্ত ব্যবস্থা ক’রে দেবেন, কৰি শুধু কষ্ট করে গিয়ে দেখে আসবেন বৌদ্ধ আমলের গিরিগুহা। আমরা সবাই রওনা হলাম। কবির দৌহিত্রের জর হওয়াতে মেয়েরা আসতে পারলেন না, এবং তাদের জন্য নগেনবাবুরও আসা হলো না। গয়া থেকে রেলে বেলা নামক ষ্টেসনে নেমে আমরা এক হাতীতে রওনা হলাম। রবিবাবু পান্ধীতে যাবেন, কিন্তু পান্ধী তখনও আসে নি, নন্দলালবাবু আশ্বাস দিলেন—“আপনারা চলে যান, হাতী আস্তে আস্তে যাবে, আর পান্ধী পরে রওনা হলেও অাগে চ’লে যাবে।” আমরা চলে গেলাম । নন্দলালবাবু আমাদের সঙ্গে কিঞ্চিৎ ফল দিয়ে দিলেন পাথেয়, এবং ব’লে দিলেন সেখানে তাবু পড়েছে এবং সেখানে পাচকেরা অন্ন প্রস্তুত ক’রে রেখেছে। আমরা বরাবর পাহাড়ের নীচে পৌছে দেখি মাঠ ধৃ ধূ করছে, কোথাও তাবু বা খাদ্যপানীয়ের কোনো আয়োজন নেই। কবির আসতে দেরী হচ্ছে দেখে আমি প্রস্তাব করলাম আমরা আগে গিয়ে গুহাগুলো দেখে আসি, কবি যে আসবেন তার কোনো লক্ষণ তো দেখা যাচ্ছে না, আর যদি আসেনই তবে তার সঙ্গে অার একবার দেখা যাবে তাতেও কোনো ক্ষতি হবে না । আমরা গুহা দেখে নেমে এলাম। তখনো কবির পান্ধীর পাত্তা নেই। ক্ষুধায় নাড়ী চোৰ্চো করছে। সঙ্গীরা অল্পবয়সী, তাদের ক্ষুধার তাড়না বেশী । তার ফলের খাঞ্চা আক্রমণ করলে। Հ Ֆ Պ