পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& ৫ নভেম্বর ১৯১২ ৪৬, মসজিদ বাড়ী ষ্ট্রীট, কলিকাতা ২০শে কাৰ্ত্তিক ১৩১৯ শ্রীচরণেষু, আপনার চিঠি দুখানি যথাসময়ে পৌছেচে । কুহু ও কেকা সম্বন্ধে আপনি যা লিখেচেন তাতে আমি আপনার স্নেহেরই পরিচয় পেয়েছি। আশীৰ্ব্বাদের করুণ হস্তের স্পর্শই লাভ করেছি। আর আপনার কাছে এও আমাকে স্বীকার কর্তে হবে, যে, মনে মনে একটু গৰ্ব্বও অনুভব করেছি। ভাল লিখতে পারি বলে নয়,— বর্তমান জগতের সর্বশ্রেষ্ঠ কবির স্নেহ লাভ কর্তে পেরেছি বলে । যখন তীর্থসলিল এবং ‘তীর্থরেণু’র জন্যে নানা দেশের কবির কবিতা সংগ্রহ ও অনুবাদ করছিলুম তখন ভেবেছিলুম, যে, আপনার রচিত যদি কোনো ইংরাজী কি সংস্কৃত কবিতা পাই তা হলে সেটিকে অনুবাদ ক’রে আমার বিশ্ব-কবিসভা উজ্জল ক’রে তুলি। কিন্তু, তার কোনো সন্ধান না পাওয়ায় আমার সেই মানসী কবি-সভায় একটি উচ্চতম আসনই শূন্ত । ফেলে রাখতে হ’ল। সেই অবধি মনটা ক্ষুণ্ণ এবং বইটায় খুঁৎ থেকে গেছে। এবারে আপনি ইংরেজীতে অনেক বই লিখেছেন এবং লিখছেন ; এই সময়ে যদি মৌলিক কোনো কবিতা,— অন্তত: Whitmanএর ধরনের গদ্য-কবিতা,— বাংলায় না লিখে একেবারে ইংরেজীতে লেখা হ’য়ে পড়ে তবে সে লেখাটি যেম আমি একবার দেখতে পাই। তা হলে আমার অনেক দিনের সাধ পূর্ণ কর্তে পারব। কলেজ ছেড়ে পর্য্যন্ত ইংরেজীতে কাউকে চিঠি পৰ্য্যস্ত লিখি নি, নইলে আর এক রকমেও ঐ সাধটা মিটুতে পারত। অন্ততঃ আপনার অমূল্য সময় এবং অনুবাদের শ্রম অনেক পরিমাণে বাচিয়ে দিতে পারতুম ; —অবত আমার নিজের বিদ্যা, বুদ্ধি ও সাধ্যের অনুপাতে। কিন্তু, দুঃখের ר ס\ ב