পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

و&\ ৪ জুন ১৯১৯ শ্ৰীচরণেষু— অাজ নীরবে যাব প্রণাম ক’রে একটু শুধু নিয়ে পায়ের ধূলো, সঁপে মোদের প্রাণের অর্ঘ্য, কবি, বলব নাকো বাক্য কতকগুলো ! বাক্য যে আজ শুধুই জালার মালা, হৃদয় সে যে রুদ্ধ ব্যথার ডালি, মৌন মুখে তাই তোমারে দেখি তিরিশ কোটির নয়ন দিয়ে খালি । শঙ্কামূঢ় স্বদেশবাসীর পাশে দেখি তোমায় আত্ম-বোধের ঋষি, অভিচারের মন্ত্রে যখন ঘোলা আকাশ জুড়ে নামে অকাল নিশি ;– জগৎ যখন নিচ্ছে বিভাগ ক’রে মারণ এবং উচ্চাটনে মিলে, সে সঙ্কটে সত্য-অনুরাগী ! আত্মপ্রদ মন্ত্ৰ তুমি দিলে। আত্মনিষ্ঠ মানুষ স্বয়ম্প্রভূ, মন ব’লে তার একটা মহাল অাছে,— ভয়ঙ্করের ভোজবাজীতে কতু খাজনা আদায় হয়নাকে তার কাছে। সেই মহালের খবর তুমি দিলে, স্বৰ্য্য জাগে তোমার তুর্য্যরবে মানুষ ব’লেই প্রাপ্য যে মৰ্য্যাদা ૨8 (t