পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাংলা দেশের বুকের মাঝে সহস্রদল পদ্ম ফোটে, পৰনে তার অামোদ ওঠে ভূবনে তার বার্তা ছোটে, জন্ম যাহার শাস্ত জলে স্বপ্ত লহর স্নিগ্ধ বাতে সাগরে তার খবর গেছে শুভদিনের সুপ্রভাতে ; তুষারে তার রূপ ঠিকরে রং ফলায়ে মেঘের গায়, রঙীন ক’রে প্রাণের রঙে অরুণ-রাণী অরোরায় । ‘রাজার পূজা আপন দেশে কবির পূজা বিশ্বময়’— চাণক্যের এই বাক্য প্রাচীন মিথ্যা নয় গো মিথ্যা নয় । পাহাড়-গলা ঢেউ উঠেছে গভীর বঙ্গসাগর থেকে, গলল এবার কঠোর তুষার দীপ্ত রবির কিরণ লেগে ; বাতাসে অগজ রোল উঠেছে ‘নিঃস্ব ভারত রত্ব রাখে ।” সপ্ত-ঘোটক-রথের রবি সপ্ত-সিন্ধু-ঘোটক হাকে ! বাহুর বলে বিশ্বতলে করিল যা’ নিপ্পনিয়া,— বাংলা আজি তাই করিল – হিয়ায় ধরি কোন অমিয়া ! মানবতার জন্মভূমি এশিয়ার সে মুখ রেখেছে,— মর্চে-পড়া প্রাচীন বীণার তারে আবার তান জেগেছে। তান জেগেছে—প্রাণ জেগেছে— উদ্বোধিত নূতন দিন, ভুজঙ্গ আজ নোয়ায় মাথা, ভেদের গরল বীৰ্য্যহীন । জাদুর মুলুক বাংলা দেশে চকেণর পাখীর অাছে বাসা, তাহার ক্ষুধা সুধার লাগি', সুধার লাগি তার পিপাসা। পূৰ্ব্বকাশে গান গাছে সে, পশ্চিমে তার প্রতিধ্বনি, অাজকে তাহার গান শুনিতে জগৎ জাগে প্রহর গণি ; অস্তরে সে জোয়ার আনে না জানি কোন মস্তরে গো অস্তুরীক্ষে সদ্যোজাত নূতন তারা সস্তরে গো ! ૨ (t G.