পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করিলাম’, তার অাগেই প্রবাসী অফিসের কর্ম ত্যাগ করে চারুচন্দ্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাধ্যায়ৰূপে যোগ দিয়েছেন। রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে তার পত্রবিনিময়ের বিষয় তখন রবীন্দ্র রচনার অর্থদ্ব্যর্থ, বা মুদ্ৰণসংশয় । ভারতী ১৩১৬ আষাঢ় শ্রাবণ সংখ্যায় ইণ্ডিয়ান পাবলিশিং হাউস থেকে সদ্য প্রকাশিত রবীন্দ্রনাথের অনূ্যন ৪৬খানি বইয়ের যে বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয় তার মধ্যে ‘চয়নিক ও গান বই দুখানিতে প্রকাশকের অধিক ভূমিকা চারুচন্দ্র পালন করেছিলেন । এ সব বইয়ের অনেকগুলি এলাহাবাদ ইণ্ডিয়ান প্রেসে ছাপা, কয়েকখানি কলকাতা কাস্তিক প্রেসে । দূর স্থানে ছাপা হওয়ার ফলে ‘গান’ বইয়ের ভুল কবিকে ক্ষুব্ধ করেছিল, কাস্তিক প্রেসে নতুন করে ছাপা নিয়ে তিনি নির্বদ্ধ করেছিলেন, দ্র ২.১১.১৯, ৯এর পত্র ১২ । গান তখনই ফের পুনমুদ্রিত হয়েছিল কি না জানা যায় ন৷ যদিও প্রথম ইণ্ডিয়ান প্রেস সংস্করণ যে ‘গান’ বইখানি আমরা দেখেছি তাতে ‘নৃতন গান পর্যায়ে ১২ই পৌষ ১৩১৬য় (২৭.১২.১৯৯৯) লেখা গান আছে, আর ইণ্ডিয়ান পাবলিশিং হাউস থেকে প্রিয়নাথ দাশগুপ্ত প্রকাশিত পরের ‘গান বইখানি আগের তুলনায় লক্ষণীয়ভাবে কৃশকায়। ইতস্তত ছাপার ভুল বাদ দিলে চারুচক্সের তত্ত্বাবধানে ইণ্ডিয়ান প্রেসে ছাপা রবীন্দ্রনাথের বইগুলি মুদ্রণের শৈলি ও সৌকর্ষে বিশেষভাবেই দৃষ্টান্তজনক, তার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সাক্ষ্য পাই বুদ্ধদেব বস্থর লেখায়। বুদ্ধদেব লিখেছেন, ‘রবীন্দ্রনাথের কোনো ইণ্ডিয়ান প্রেস-সংস্করণ ব্যবহার করার বা চোখে দেখার সৌভাগ্য যাদের হয়েছে তারাই জানেন যে মুদ্রণের পারিপাট্যে শুধু নয়, পৃষ্ঠাসজ্জায় ও কবিতার পঙক্তি ও স্তবকবিন্যাসে তাতে প্রকাশকের রুচি ও সাহিত্যবোধের পরিচয় কী রকম উজ্জল ছিল ।. অম্বুমান করা শক্ত নয় যে চারু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহযোগের জন্যই এমনতর চারুতা সাধন সম্ভবপর হয়েছিল।’’ ഇബ് ১ দ্র. দেশ সাহিত্য-সংখ্যা ১৩৭৩ পৃ ১৯৬ । চারুচন্দ্রের সহযোগের আগে এবং পরে ইণ্ডিয়ান প্রেসের যুদ্রণ পরিপাট্য এবং তার কর্মকং রূপে চিন্তামণি ঘোষের সুনাম ४9 > २