পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্রনাথ । চারুচন্দ্র লিখেছেন, “তিনিই প্রথমে র্তাহার মন্তব্য দ্বারা আমার মনে সন্দেহ উদ্রেক করিয়া দেন যে কবিকঙ্কণ বৈষ্ণব ছিলেন।’ এই তথ্য পরে আস্তর ও বাহ বহু প্রমাণ দ্বারা’ তিনি প্রমাণ করতে চেষ্টা করেছেন। ভারতী বঙ্গদর্শন তত্ত্ববোধিনী এবং পরে সবুজপত্রের বাইরে, হয়তে উপরেও, রবীন্দ্রনাথের রচনা প্রকাশের মুখ্য কাগজ প্রবাসী ও মডার্ন রিভিউ। মডার্ন রিভিউ তাকে ইংরেজি লিখতেও নিরস্তর প্রণোদিত করেছিল, অন্তের করা রবীন্দ্ররচনার অনুবাদ প্রকাশ করেছিল ধারাবাহিকভাবে। ইংরেজিভাষাভাষী বহির্বঙ্গে, বহির্ভারতেও, তার প্রাথমিক পরিচয় এই কাগজের সূত্রে। বিশ্বভারতী রবীন্দ্রনাথের লেখা প্রকাশের যাবতীয় কর্তৃত্ব গ্রহণ করার পর প্রবাসী অফিসের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের যে সাময়িক অনন্বয়ের সূত্রপাত হয় সে অনেক পরের কথা । ততদিনে ইণ্ডিয়ান প্রেসের সঙ্গে ও তার সম্বন্ধচ্ছেদ হয়ে গেছে। চারুচন্দ্ৰ ইণ্ডিয়ান প্রেস ছেড়ে প্রবাসীতে যোগ দেওয়ার পরেও তার সঙ্গে বা রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে ইণ্ডিয়ান প্রেসের সম্বন্ধের ব্যতিক্রম হয় নি। ১৯৯৯ থেকে ১৯১২ চার বছরে চারুচন্দ্রের প্রণীত অনূদিত সম্পাদিত প্রথম নয়খানি বইই ছেপেছিলেন ইণ্ডিয়ান প্রেস|ইণ্ডিয়ান পাবলিশিং হাউস। তার পর কুন্তলীন প্রেস, এম. সি. সরকার, গুরুদাস চট্টোপাধ্যায়, ঐগুরু লাইব্রেরি এবং আরো নানা প্রসিদ্ধ সংস্থা তার বই প্রকাশ করলেও ইণ্ডিয়ান প্রেস ১৯৩৪ সাল পর্যন্ত একাদিক্রমে তার মোট সতেরোখানি বই প্রকাশ করেন। রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে ইণ্ডিয়ান প্রেসের সম্বন্ধচ্ছেদ হয়ে যায় মাঝপথেই– বিশ্বভারতী রবীন্দ্রনাথের গ্রন্থপ্রকাশের দায়িত্ব মেবার পর। ১৮ সেপ্টেম্বর ১৯২২এর পত্রে চিস্তামণি ঘোষকে রবীন্দ্রনাথ লেখেন, ‘আমার সমস্ত বাংলা বইগুলির স্বত্ব লেখাপড়া করিয়া বিশ্বভারতীর হাতে দিয়া আমি সম্পূর্ণ নিষ্কৃতি লইয়াছি। এক্ষণে এই অধিকারের হস্তান্তর উপলক্ষ্যে আমার গ্রন্থপ্রকাশের কোনো একটি সন্তোষজনক ব্যবস্থা হইতে ○>●