পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করেছেন। বিশ্বভারতী গ্রন্থনবিভাগ যখন প্রতিষ্ঠা হয় চারুচন্দ্র তখনও প্রবাসী সম্পাদনার কাজে যুক্ত। কিন্তু ১৯২২এর সত্যেন্দ্র-স্মৃতিসভার পর আড়াই বছরে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে তার পত্রালাপ নেই। ১৯২৪এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেবার পূর্বাহে রবীন্দ্রনাথের কাছ থেকে একটি সুপারিশ পত্র মাত্র তিনি দীর্ঘ তিন বছরের মধ্যে লাভ করেছেন। o ס\ ১৯২০তে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে পার্ট টাইম ক্লাস নিতে শুরু করেন চারুচন্দ্র, প্রবাসী অফিস আর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাগাভাগি হয়ে যায় তার কর্মজীবন। ১৯২•র দুটি মাত্র চিঠির দ্বিতীয়টিতে প্রবাসীর জন্য গল্প লেখা, চারুচন্দ্রের জন্য গল্পের প্লট ভেবে দেওয়া এবং অধ্যাপনা নিয়ে পরিহাস করেছেন দেখা যায় রবীন্দ্রনাথ পাশাপাশি । প্রসঙ্গত, চারুচন্দ্রের পুত্র লিখেছেন, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানোর পর্বে র্তার স্বষ্টিধর্মী লেখাতেও 'কোটাল জোয়ার’ এসেছিল, এই সময়পরিসরের মধ্যে নখানি উপন্যাস দুটি ছোটো গল্পের বই ও একখানি বারোয়ারি উপন্যাসের একাংশ তিনি লিখেছিলেন। পড়ানোর পূর্বাহে শ্রেণীবিভাজিত, বিস্তৃত একটি সিলেবাস তৈরি করে নেন পাঠ্যবিষয়ের ( সে সিলেবাস কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় মুদ্রিত করেছিলেন )— সেও শ্রমসাধ্য কাজ। দীনেশচন্দ্র সেন হৃষীকেশ বসুর সহযোগে কবিকঙ্কণ চণ্ডীর নতুন দুভাগ বইও সম্পাদনা করেন এই সময়, পড়াতে গিয়ে ধীরে ধীরে প্রস্তুত করে তোলেন সুবৃহৎ দু খণ্ড ‘চণ্ডীমঙ্গল বোধিনী’। • সে-সব বই যতদিনে বেরিয়েছে তার আগে পুরোপুরি অধ্যাপন কর্ম নিয়ে তিনি ঢাকাবাসী। ১০ মে ১৯২৫এর পত্র ৮৫তে রবীন্দ্ৰহস্তাক্ষরে বাংলা-ইংরেজিতে মেশানো চারুচন্দ্রের ঠিকানা : শ্ৰীযুক্ত চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়/44 Nilkhet Road / Ramna / Dacca I (5 f5fỆts Hā'āRio ১ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও প্রাচীন সাহিত্য পড়িয়েছেন চারুচন্দ্র । শূন্যপুরাণ ( ১৩৩৬ ) বা 'বৈষ্ণব মহাজন পদাবলী’ ( ১৩৪১ ) সম্পাদনার উপলক্ষ হয়তো তাই । e جرث\