পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অভিযোগ করেছেন : 'চারু, ছুটিতেও কি তোমার দেখা পাওয়া যাবে। না। হয়তো গ্রীষ্মের ছুটিতেও আসার অবকাশ নেই, পুরোপুরি, অবিচ্ছিন্ন ঢাকা-জীবন এখন তার । রামানন্দের আশংসাপত্র থেকে অনুমান হয় ১৯২৪এ পুজোর আগে বা পরে যোগ দিয়েছিলেন চারুচন্দ্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এই নিযুক্তির হুত্রে সোচ্ছ্বাসে বলেছেন তিনি রবীন্দ্রনাথের সুপারিশের কথা ( দ্র, এই বই পৃ ১৪৯ )। রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘His connection with the Calcutta University led to his appointment as a Professor in the Bengali Department of the Dacca University? চারুচন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেণ্ট অফ সান ক্রিটিক স্টাডিজ অ্যাও বেঙ্গলি-র লেকচারার পদে যোগ দিয়েছিলেন। ২৫ অগস্ট ১৯২৮এর বার্ষিক সমাবর্তন উৎসবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তাকে সাম্মানিক এম.এ. ডিগ্রি দান করেন। ঢাকায় চারুচন্দ্রের রবীন্দ্রকৃতির প্রথম তথ্য পাই পত্র ৮৬তে। ১৯২৫এর বর্ষায় ঢাকা বিশ্বভারতী সম্মিলনী যে ‘ফাল্গুনী’ অভিনয় করেন প্রোগ্রাম পত্রীতে চারুচন্দ্র সে সম্মিলনীর সম্পাদক বলে উল্লেখ পাওয়া যায়। বর্ষায় ‘ফাল্গুনী’ অভিনয়ের একটি স্বচনার কৈফিয়ত লিখে পাঠিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। চারুচন্দ্র অভিনয়ও করেছিলেন সে নাটকে। ১৯২৬এর ফেব্রুয়ারিতে রবীন্দ্রনাথ ঢাকা ও অন্যত্র পূর্ববঙ্গে বক্তৃত সফর করেন। ১৯২৫এর ডিসেম্বরের শেষ দিকে চারুচন্দ্রকে লেখেন র্তার জামুয়ারির শেষভাগেই যাবার সঙ্কল্পের কথা, কিন্তু রমেশের ( বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাসের প্রধান অধ্যাপক রমেশচন্দ্র মজুমদার ) বাসাতেই থাকার কথা তিনি দিতে পারছেন না ( বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হিসেবে হয়তো চারুচন্দ্রও তাকে সেই নির্বন্ধ করেছিলেন )। ফেব্রুয়ারি ১৯২৬এর শুরুতে লেখেন, ঢাকার সাধারণের তরফ থেকেও দুজন দূত এসে তাকে আমন্ত্রণ করে গেছেন অতএব নির্ধারিত দিনের তিন দিন আগে গিয়ে তাদের অতিথি হয়ে כ אס\