পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হালফিল বাঙালি ম্যাজিস্ট্রেটের অন্তঃপুরিকা ডিটুজ লন্ঠনের পলতে উসকে প্রবাসীর পাতা উলটে নিবিষ্ট হয়ে পড়েন রবিবাবুর গান, প্রভাত মুখুজ্জের উপন্যাসে, চারু বাড়ুজ্জের ছোটো গল্প। প্রেমেন্দ্র মিত্র লিখেছেন তার শিক্ষানবিশির পর্বে ‘প্রবাসী’ পত্রিকা স্বৰ্গত চারু বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচালনায় প্রতি বৎসর গল্প প্রতিযোগিতার পুরস্কৃত গল্পগুলি তারা সাগ্রহে পাঠ করতেন। তার ‘শ্রেষ্ঠ গল্পের ভূমিকায় ঐকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় তিনি যে অতি আধুনিক লেখকগোষ্ঠীর অগ্রদূত, সে সত্যের ইঙ্গিত ও পেয়েছেন। আধুনিক বাস্তবতা বা ইতরজনপ্রান্ত বা মন্দ-অমাঙ্গল্যের প্রবেশ ঘটেছিল তার প্রৌঢ় লেখাতে, যদিও বুদ্ধদেব বস্থর বিবেচনায় তা স্বচ্ছন্দ হয়ে ওঠে নি লেখকের স্বভাবজ অপ্রবণতাবশে । তথাপি চারুচন্দ্রের মৃত্যুর সম্বন্ধগত পর প্রবোধকুমার সান্তাল যে লিখেছেন, যে বাস্তবতা ও স্ত্রীপুরুষের বিশ্লেষণমুথিত এখনকার কথাসাহিত্যে অপরিহার্য বলিয়া স্বীকৃত তাহার পূর্বাভাস চারুচক্সের গল্পে ও উপন্যাসে পাওয়া যায়’, তাতে আরো প্রত্যক্ষ সম্বন্ধের সূত্র নিণীত হয়েছে বলে মনে হয় । হয়তো আধুনিক ইয়োরোপীয় অনুষঙ্গের অধিক স্বব্যবহার হয়েছে র্তার লেখাতে । ‘কণ্টিনেন্টাল' লেখার নানা বিষয় প্রসঙ্গের বিনিয়োগের চেয়েও সে ক্ষেত্রে বেশি উল্লেখ করতে হয় তর্জমাগুলি । রবীন্দ্রনাথের পরামর্শক্রমেই র্তারা ভাবাতুবাদ করেছেন, তার অমুগামীদের রবীন্দ্রনাথ অক্ষরিক অনুবাদের প্রবর্তন করেন নি। কিন্তু সেও অনুযাত্রীদের কাছে কম নয় । সৈয়দ মুজতবা আলি লিখেছেন, ভারতী গোষ্ঠীর চারুবাবু ছিলেন তাদের তরুণ বয়সের হিরো। বড়ো একটা catholic জানলা তারা খুলে দিয়েছিলেন। ফরাসী ও রুশ গল্পের “ছায়াবলম্বনে”র ওস্তাদ সূপকার’ বলেছেন জীবনানন্দ দাশ চারুবাবু মণি গাঙ্গুলিকে, প্রধানত এদেরই সুত্রে, তিনি লক্ষ্য করেছেন, ‘রবীন্দ্র বঙ্কিম ও বাংলা সাহিত্যের প্রাক্তন ১ দ্র, কনখল’ (১৯৬৩) ১৯শ অধ্যায় এবং ‘বৃষ্টি এল'র (১৯৫৪) ‘দুটি মৃত্যু: প্রবন্ধ। ৩২৪