পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিকেতনের অধ্যাপক স্ববোধ মজুমদারও তখন শিলাইদহে ছিলেন। ‘শিলাইদহে...’। ঠাকুরবাড়ি জমিদারির বড়ো কাছারি ছিল শিলাইদহ গ্রামে। উত্তরবঙ্গের জমিদারি তত্ত্বাবধানের ভার পাওয়ার পর নভেম্বর ১৮৮৯ থেকে রবীন্দ্রনাথ নিয়মিতভাবে মাঝে মাঝে শিলাই দহে থাকতে শুরু করেন । ‘বোলপুর ব্রহ্মচৰ্য্যাশ্রম’ । শান্তিনিকেতন আশ্রমের অঙ্গ হিসাবে প্রতিষ্ঠা ৭ই পৌষ ১৩০৮, ২২ ডিসেম্বর ১৯.১। ৭ই পৌষ দেবেন্দ্রনাথের দীক্ষা-দিন। কালীপদ রায় লিখেছেন, ডিসেম্বর মাসে স্বচনা হলেও ১৯০২ সালের জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে প্রকৃতপক্ষে বিদ্যালয়ের অধ্যয়নের কাজ শুরু হয় । দ্র শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ ১৩৮৮ পৃ ৮। বোলপুর ব্রহ্মচৰ্য্যাশ্রমে সাহায্য । শুভার্থীদের নিয়মিত বা এককালীন সাহায্য বা দান প্রথমাবধিই আসতে শুরু করেছিল। ত্রিপুরারাজ রাধাকিশোর মাণিক্য বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকাল থেকে বাৎসরিক এক হাজার টাকা সাহায্য মঞ্জুর করেছিলেন। ত্রিপুরার রাজকুমার ব্রজেন্দ্রকিশোরকে ৭ চৈত্র ১৩০৯এর এক পত্রে রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন : ‘এখন সহায়তা আপনি আসিতেছে। শুনিয়া আশ্চৰ্য্য হইবে একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষক ১৫০ টাকা মাত্র বেতন পান— কলিকাতায় বাসা ভাড়া করিয়া তাহাকে পরিবার প্রতিপালন করিতে হয়— তিনি একদিন বোলপুরে আসিয়া নিঃশব্দে আমাকে ১০ • • এক সহস্র টাকা দিয়া গেলেন।’ এই শিক্ষক মোহিতচন্দ্র সেন, পরে শান্তিনিকেতন বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ হয়েছিলেন ॥২ ঘাট থেকে নদীপথে পাবনা ডান দিকে রেখে শিলাইদহের ঘাটে এসে পৌছতে হত, এই রকম বিবরণ পাওয়া যায়। ১ শনিবারের চিঠি, ফাল্গুন ১৩৪৯ পৃ ৪৭৯-৪৮০। চিঠিপত্র ১৩, পৃ ৩৩-৩৪ । ২ মোহিতচত্রের এই দানের কথা প্রিয়নাথ সেনকে লেখা পত্রেও উল্লেখ আছে । দ্র, চিঠিপত্র ৮, পত্র ১৭২ ৷ | Վ ՀԵ