পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হইত... লাল ও হলদে রেশমী স্থতা দিয়া আমরা তখন নিজেরাই বাড়ীতে অতি সুন্দর রাখী তৈয়ারী করিতাম ও পরিচিত সকলের বাড়ী বাড়ী ঘুরিয়া রাখী বাধিয়া বেড়াইতাম ।’ দূরস্থজনকেও রাখী পাঠানো হত । ১৯০৫ এর সেদিনেই এলাহাবাদ কায়স্থ কলেজের অধ্যক্ষ রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়কে রাখী পাঠিয়ে নিবেদিতা লিখেছিলেন : ‘Thus to you from us of Bengal, is sent today this thread of . Rakhi-Bandhan, in token not merely of the union of Provinces and parts of Provinces but of bond that knits us all as children of one Motherland together. Bande Mataram.’ স্বয়ং রবীন্দ্রনাথের পাঠানো সেদিনের রাখী পেয়ে দাৰ্জিলিং থেকে শিবনাথ শাস্ত্রী ১৯ অক্টোবরের ১৯০৫এর চিঠিতে লেখেন, “আপনার প্রেরিত “রাখী” কলিকাতা আশ্রম হইতে পুনঃপ্রেরিত হইয়া এখানে আসিয়াছে । আপনি যে এত ব্যস্ততার মধ্যে এমন দিনে আমাকে স্মরণ করিয়াছেন, ইহাতে বড়ই আনন্দিত হইয়াছি। সাদরে রাখীগাছি ধারণ করিয়াছি।’ পর বছর ৩১ অশ্বিন ১৩১৩য় ময়ূরভঞ্জের মহারানী সুচারু দেবীকে রবীন্দ্রনাথ লিখছেন, ‘মনে করে এই দূরস্থিতকে রাখী পাঠিয়েছ এতে কত খুশি হলুম বলতে পারি মে ।’ চারুচন্দ্রের এই রাখী পাঠামোর বর্ষে ১৩১৬য় ৪ঠা অশ্বিনের পরের কোনো শনিবার অজিতকুমার চক্রবর্তীকে রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন, ‘আগামী ৩০শে আশ্বিন তোমরা একটা উৎসব করতে চেয়েছ... যেমন ইংরেজ পূর্ব ও পশ্চিম বঙ্গকে সত্যই স্বতন্ত্র করে দেবার মালিক নয় তেমনি আমাদের রাখিবন্ধনের গণ্ডির দ্বারা ভারতবর্ষে কেবল আমাদের মনের মত জাতিকেই গড়ব এবং অন্তকে বর্জন করব তা চলবে না ... তোমাদের আশ্রমে তোমদের রাখিবন্ধনের দিনকে খুব ○● ●