পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রামানন্দ লিখিতভাবেও সম্ভবত ‘জীবনস্মৃতি’র জন্য অনুরোধ করেন। চারুচন্দ্রের লেখা এই চিঠির তিনদিন পর রামানন্দকে রবীন্দ্রনাথ লেখেন : “আমার জীবনস্মৃতি প্রবাসীতে বাহির করিবার পক্ষে আপনার অনুরোধ ছাড়া অার একটি কারণ ঘটিয়াছে। অামার বিদ্যালয়ের কোনো অত্যুৎসাহী শিক্ষক আমার ঐ লেখা নকল করিয়া মফঃস্বলে কোনো সভায় আমার জন্মোৎসব উপলক্ষ্যে পাঠ করিতে পাঠাইয়াছেন। প্রকাশ না করিবার জন্য তিনি অনুরোধ করিয়াছেন কিন্তু ইহার অযথা ব্যবহার হওয়ার আশঙ্কা যখন আছে তখন বিকৃতি লাভের পূৰ্ব্বেই ওটাকে ছাপার অক্ষরে ধ্রুব করিয়া রাখা ভাল • • • ।” ‘মাতা সীতাকে জানিয়ে৷. ৷ এ বাবদে সীতা দেবীর জবানি উদ্ধৃত করি, ১৩১৮র ২৫শে বৈশাখ দুপুরের বিবরণ প্রসঙ্গে লিখেছেন : ‘নেপালবাবু আমাদের শিশুকাল হইতেই জানেন, এলাহাবাদে আমরা বহুকাল একই বাড়ীতে বাস করিয়াছিলাম। তিনি আদর করিয়া আমাকে 'মা' বলিয়া ডাকেন। রবীন্দ্রনাথ যখন আসিয়া বারান্দায় উঠিলেন, তখন আমি দাড়াইয়া নেপালবাবুর সঙ্গে গল্প করিতেছিলাম। কবি আমাদের সামনে আসিয়া নেপালবাবুকে সম্বোধন করিয়া বলিলেন, “কি, আপনার এখানে এসে মাতৃসম্মিলন হল নাকি ?” চারুচন্দ্র অগ্রসর হইয়া আসিয়া বলিলেন, “উনি যে কেবল নেপালবাবুরই মা তা নয়, আমারও বটে " সত্যই তিনি আমাকে স্নেহ করিয়া মা বলিয়া ডাকিতেন, এ স্নেহ তাহার জীরনাস্তকাল পর্যন্ত ছিল । ‘রবীন্দ্রনাথ হাসিয়া বলিলেন, “তাহলে অামিও একজন candidate gas ”” ১৩১৮র জন্মোৎসব থেকে ফিরে আসবার পর, সীতা দেবী লিখেছেন : ‘আবার উৎসব হইলেই আমরা শান্তিনিকেতনে যাইব এই ইচ্ছ। প্রকাশ করায় বাবা সে-কথা রবীন্দ্রনাথকে লিখিয়াছিলেন, তাহার °>8