পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এবং ‘রাজকীয় আলস্তে ভরপুর হয়ে বসে’ও এরই মধ্যে একট} অন্ধ শেষ হয়েছে । ১৪ই আষাঢ় ২৯শে জুন নাটকখনি শেষ হয়েছে লেখা। অর্থাৎ ১৬ মে থেকে ২৯ জুনের মধ্যে ‘অচলায়তন নাটকের সংকল্প থেকে সমাপ্তি। জুলাইয়ের প্রথম রবিবার কলকাতায় প্রশাস্তচন্দ্র মহলানবিশের বাড়িতে রবীন্দ্রনাথ নাটকখানি পাঠ করে শোনান। এ সম্বন্ধে সীতা দেবী লিখেছেন : ‘সেদিন রবিবার ছিল। বিকাল হইতে-না-হইতে আমরা কয়জন বারান্দায় দাড়াইয়া অপেক্ষা করিতেছিলাম কতক্ষণে তিনি আসিবেন। প্রশাস্তচন্দ্রের বাড়িতে ইহারই মধ্যে অনেকে আসিয়া উপস্থিত হইয়াছিলেন । ... শ্রোতার দল আকুল আগ্রহে অপেক্ষা করিতেছিল।. পাঠের ব্যবস্থা যে জায়গায় হইয়াছিল, লোক তাহার তুলনায় অতিরিক্তই হইয়া গিয়াছিল। ক্রমাগতই একজনের পর একজন নূতন শ্রোতা আসিতেছেন এবং রবীন্দ্রনাথ আবার গোড়া হইতে শুরু করিতেছেন। ‘অচলায়তনের অনেক গান, সবগুলি তিনি একাই গাহিয়া গেলেন । তবে গলা একটু ভার থাকায় নীচু গলায়ই গাছিলেন। লোকের ভীড়ে আর কথাবাৰ্ত্ত বলিবার কোন সুবিধা হইল না । তাহার পরদিনই রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনে ফিরিয়া গেলেন । ১ পত্র ৪৫ ৷ ‘শেষকালে নাটকট1.’ ॥ ‘অচলায়তন’ রচনা সমাপ্তি ১৪ই আষাঢ় ১৩১৮ । উৎসর্গপত্র লেখা পরদিনে । ‘আন্তরিক শ্রদ্ধার নিদর্শন স্বরূপে এই অচলায়তন বইখানি অধ্যাপক শ্রীযুক্ত যদুনাথ সরকারের নামে উৎসর্গ করিলাম। ১৫ই আষাঢ় । শিলাইদহ। শ্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। প্রকাশ : প্রবাসী, আশ্বিন ১৩১৮ পৃ ৫৫৪-৫৯২ । গ্রন্থাকারে : অচলায়তন । শ্ৰীযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রণীত। অাদি ব্রাহ্মসমাজ ১ পুণ্যস্মৃতি' ১৩৪১ পৃ ৫২-৫৪ ।