পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মূল প্রবন্ধের বক্তব্য উপস্থাপনের পর তুলনামূলকভাবে তার দেশকালের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছেন সংকলয়িতা : বর্তমান ভারতে ব্রাহ্মধৰ্ম্মের সহিত নবজাগ্রত হিন্দুধৰ্ম্মেরও প্রায় এইরূপ সম্বন্ধ দেখা যায়। সেই জন্যই কেশবচন্দ্রের সহিত রামকৃষ্ণ পরমহংসের যোগ অথবা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর শেষ বয়সের মতের সহিত হিন্দুসমাজের মতের মিলন সম্ভবপর হইয়াছে। বিবেকানন্দ যে একসময়ে উৎসাহী ব্রাহ্ম ছিলেন তাহাতে র্তাহার পরবর্তী মত পরিবর্তনের কোনো গুরুতর বিঘ্ন ঘটায় নাই। বস্তুত খৃষ্টীয় প্রথম শতাব্দীর রোমের ন্যায় ভারতেও ধৰ্ম্মক্ষেত্রে প্রাচীন মতের সহিত নবীন মতের যে একটি আনাগোনা চলিতেছে তাহা একটু দৃষ্টি করিলেই দেখা যাইবে— ইহাদের বিরুদ্ধতা ক্ষয় হইয়৷ ইহণদের ভেদচিহ্ন যে প্রতিদিন লুপ্ত হইয়া আসিতেছে তাহাতে সন্দেহ নাই। সংকলয়িতার মতে, ‘জৰ্ম্মান পণ্ডিত রোমের বহুদেববাদের যে পরিণতি অঙ্কিত করিয়াছেন তাহ এমনি রেখায় রেখায় আমাদের দেশের বর্তমান ধৰ্ম্মবৈচিত্র্য ও তাহার ক্রিয়াপ্রতিক্রিয়ার ছবি অঁাকিয়৷ দিয়াছে।’ পত্র ৪৭ ৷ ‘বাংলা নির্দেশক’ । প্রবাসী, আশ্বিন ১৩১৮ পৃ ৬৭২-৬৭৪ ॥১ ‘বাংলা শব্দতত্ত্ব’ নামে ‘শব্দতত্ত্বে’র দ্বিতীয় সংস্করণে ( ১৩৪২ ) অন্তর্ভুক্ত। . সন্তোষচন্দ্র মজুমদার : 'অশ্বের মনস্তত্ত্ব’ । প্রবাসী, কাতিক ১৩১৮ পৃ৭৩-৭৬ । ‘শরৎবাবুর সংকলন । শরৎকুমার রায়, শান্তিনিকেতন বিদ্যালয়ের শিক্ষক । ১ পরের মাসের প্রবাসীতে রবীন্দ্রনাথের প্রবন্ধ নিয়ে আলোচনা করেছিলেন বসন্তকুমার চট্টোপাধ্যায়। দ্র. ' “বাংলা নির্দেশক" সম্বন্ধে কয়েকটি কথা” । প্রবাসী, কাতিক ১৩১৮ পৃ ৯৫-৯৬ । 8 S >