পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

'জ্যোতিদাদার ছবি তার . . ." । জ্যোতিরিন্দ্রনাথের ছবি প্রসঙ্গে রোটেনস্টাইন। রোটেনস্টাইন ভারতী, ফাল্গুন ১৩১৮য় জ্যোতিরিন্দ্রনাথের আঁকী রবীন্দ্রনাথের কয়েকখানি ছবির প্রতিলিপি দেখে অথবা জ্যোতিরিন্দ্রনাথের মূল ছবির খাতা দেখে তার সম্বন্ধে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। পাশাপাশি অজিতকুমার চক্রবর্তীকে ৪ সেপ্টেম্বর ১৯১২য় লেখা পত্রে রবীন্দ্রনাথ আরেকটু বিশদ করে রোটেনস্টাইনের মনোভাব জানিয়েছেন : সম্প্রতি জ্যোতিদাদার গোটাতিনেক ছবির খাতা আনিয়ে আমি রোটেনস্টাইনকে দেখতে দিয়েছি। তিনি দেখে স্তম্ভিত হয়েছেন। আমাকে বেদনা পেতে পারে, ইনিই তোমাদের দেশের শ্রেষ্ঠ চিত্রী। আমাদের দেশের প্রথম শ্রেণীর ওস্তাদের হাতের যে নৈপুণ্য তাই এই ছবির মধ্যে আছে। এই ছবির খাতা এখানে যে দেখচে সেই খুব প্রশংসা করচে। এতদিন এই ছবির খাতা আমাদের দেশে যে অখ্যাতভাবে লোকচক্ষুর অগোচরে রয়ে গেছে এতে তিনি অত্যন্ত আক্ষেপ প্রকাশ করলেন। এর ছবির বিষয়ে এখানে ইনি লিখবেন বলেছেন। আমাদের দেশের শ্রেষ্ঠত যে কোথায় কোথায় আছে তা জানি নে বলেই আমাদের দারিদ্র্য এত সুগভীর ।... এ ছবির একটা selection ছাপাবার জন্যে রোটেনস্টাইন আমাকে বলচেন। ছবি ছাপানো অত্যস্ত ব্যয়সাধ্য তবু যেমন করে হোক এর একটা গতি করতে হবে। আগের দিন ৩ সেপ্টেম্বর ১৯১২র চিঠিতে স্বর্ণকুমারী দেবীকেও রবীন্দ্রনাথ লেখেন : জ্যোতিদাদার ছবির খাতা এখানকার কোনো কোনো আর্টিস্ট দেখে খুব ংসা করচে। এরা বলে ওঁর drawing একেবারে প্রথম শ্রেণীর ওস্তাদের হাতের উপযুক্ত। এখানকার কাগজে ভাল লোক দিয়ে ওঁর ছবির সমালোচনার বন্দোবস্ত করা যাচ্চে। এরা বলচেন, উচিত ওঁর ছবির একটা slection ছাপাতে। ছবি ছাপানো ভয়ানক খরচ। অস্তত হাজার দেড়েকের 8 8 +