পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অপরপক্ষে নরেন্দ্র দেব লিখেছেন, ‘আনন্দ বিদায় বিজ্ঞাপিত হওয়ার পর "ভারতীর দল স্থির সংকল্প করলেন এ নাটক কিছুতেই অভিনয় করতে দেওয়া হবে না। প্রথম অভিনয় রজনীতেই এ নাটকের কণ্ঠরোধ করবার জন্য ভারতীর দল প্রেক্ষাগৃহের সকল শ্রেণীর আসনের বেশ কিছু প্রবেশপত্র কিনে ফেললেন এবং স্টার থিয়েটার বা দ্বিজেন্দ্রভক্তদের কাউকে ঘূণাক্ষরেও জানতে দেওয়া হল না যে আনন্দবিদায়কে শুরুতেই রঙ্গমঞ্চ থেকে বিদায় করবার জন্য ভিতরে ভিতরে কি বিপুল ষড়যন্ত্র হয়েছে।" প্রভাতচন্দ্র ভারতীর দর্শকদলের নাম উল্লেখ করেছেন, তার মধ্যে চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় নেই, অভিনয় দেখতে না গেলেও সম্ভবত র্তারই কাছে দ্বিজেন্দ্রলালের অশালীন বাঙ্গনাট্য এবং প্রতিলাঞ্ছনার তথ্য রবীন্দ্রনাথ জানতে পেরেছিলেন। রবীন্দ্রনাথ ও দ্বিজেন্দ্রলালের প্রতিসম্বন্ধে চিড় ধরেছিল বঙ্গভাষার লেখক’ (১৯০৪) গ্রন্থে অস্তগত রবীন্দ্রনাথের সংক্ষিপ্ত স্বলিখিত ‘জীবনবৃত্তাস্তে'র সূত্রে। সে লেখায় জীবনদেবতা ও দৈব প্রেরণা প্রসঙ্গে রবিবাবু তাহার সকল রচনা সম্বন্ধেই প্রত্যক্ষভাবে Divine Inspiration দাবি করেন এই দম্ভ ও অহমিকায় বিরক্ত, উত্যক্ত ও উত্তেজিত’ হয়ে রবীন্দ্রনাথও তার এক উগ্র’ উত্তর দেন এবং তারপর আরো উত্তপ্ত পত্রালাপ চলে – তার একটি মাত্র ২৩শে বৈশাখ ১৩১২ তারিখের রবীন্দ্ৰ-লিখিত পত্র রবীন্দ্রভবনে রক্ষিত আছে এবং প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় তার গ্রন্থে উদ্ধৃত করেছেন (দ্র, ‘রবীন্দ্রজীবনী ২য় খণ্ড ১৩৯৫ পৃ ৩৭৩-৩৭৫)। অতঃপর ১৯০৬-এ গয়ায় বদলি হয়ে লোকেন পালিতের সঙ্গে সাহিত্যালোচনা সূত্রে, তার মতো সূক্ষদশী ও মনস্বীব্যক্তি রবীন্দ্রনাথের ১ পুলিনবিহার সেন সংগ্রহ, রবীন্দ্রভবন। ২ দেবকুমার রায়চৌধুরী : দ্বিজেন্দ্রলাল, বন্ধু বাৎসল্য অধ্যায় পৃ ৩৪৯-৩৫১।