পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রবাসে, ব্যবধামে, বৃহৎবিশ্বের অভ্যর্থনার মুখে দাঁড়িয়ে দেশজ দলাদলির ক্ষুদ্রতা, এবং অনুরাগী অনুজ বন্ধুদের লাঞ্ছনার সংবাদ শুনে রবীন্দ্রনাথ অসহায় বোধ করেছিলেন। পরের চিঠির উপাস্ত্য অনুচ্ছেদে তা লক্ষ্য করা যায়। “তোমাদের প্রতি একান্ত স্নেহ সত্ত্বেও আমাকে বোধ হয় হার মানতে হবে।’ (দ্র, এই বই পৃ ৬৫)– যেদিন একথা লেখেন দ্বিজেন্দ্রলালের মৃত্যু হয় সেদিন। সম্ভবত পরাজয় স্বীকার করে নিয়েই দ্বিজেন্দ্রলালকে তিনি পত্র লিখেছিলেন। মৃত্যুর পূর্বাহ্লে দ্বিজেন্দ্রলাল সে পত্রের উত্তর দিতেও বসেছিলেন। প্রস্তুয়মান ভারতবর্ষ মাসিকের সূচনা পত্রের জন্য তিনি লিখে গিয়েছিলেন, “আমাদের শাসনকর্তারা যদি বঙ্গসাহিত্যের আদর জানিতেম তাহা হইলে বিদ্যাসাগর বঙ্কিমচন্দ্র ও মাইকেল Peerage পাইতেন এবং রবীন্দ্রনাথ Knight উপাধিতে ভূষিত হইতেন। পাশ্চাত্যদেশে রবীন্দ্রনাথের সমাদর বা নোবেল পুরস্কারের সংবাদ তিনি জেনে যান নি। দ্বিজেন্দ্রলালের অনুরাগী বন্ধু দেবকুমার রায়চৌধুরীর দ্বিজেন্দ্রজীবনীর ভূমিকায় রবীন্দ্রনাথ লেখেন : ‘আমি যে তার গুণপক্ষপাতী, এইটেই আসল কথা এবং এইটেই মনে রাখিবার যোগ্য... সাময়িক পত্রে যে সকল সাময়িক আবর্জনা জমা হয় তাহা সাহিত্যের চিরসাময়িক উৎসবসভার সামগ্ৰী নহে।’ - পত্র ৫৫ । আমার হাটের বেসাতি শেষ হয়ে গেছে ...’ ইত্যাদি। আরও কিছুদিন পরে মীরা দেবীকে লিখেছেন - : ১ জানুয়ারি ১৯২৭এর এক পত্রে দিলীপকুমার রায়কে রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, "তোমার পিতাকে আমি শেষ পর্যন্ত শ্রদ্ধা করেছি। সে কথা জানিয়ে তাকে ইংলণ্ড থেকে আমি পত্র লিখেছিলেম, শুনেছি সে পত্র তিনি মৃত্যুশয্যায় পেয়েছিলেন এবং তার উত্তর লিখেছিলেন। সে উত্তর আমার হাতে পৌঁছয় নি। দ্র, দিলীপকুমার রায় : তীৰ্থংকর’ ১৯৮২ সং পৃ ২৭০ ২ বিস্তুত বিবরণের জন্য দ্র, প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় : “রবীন্দ্রজীবনী ২য় খণ্ড ১৩৯৫ রবীন্দ্রনাথ ও দ্বিজেন্দ্রলাল অধ্যায় পৃ ৩৬৬-৩৮২। গায়ত্রী মজুমদার ; রবীন্দ্রনাথ ও দ্বিজেন্দ্রলাল ১৩৮৬। ৩ চিঠিপত্র ৪ পৃ ৫৮-৫৯। 8 & 8