পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শাস্তা দেবী লিখেছেন, মিত্ররা অনেকেই মনে করিয়াছিলেন রবীন্দ্রনাথ র্তাহাদের ভালবাসা ও সম্মানের অঞ্জলিকে প্রত্যাখ্যান করিয়াছেন। এই সব মানুষ র্তাহার কথায় আঘাত ত পাইয়াই ছিলেন, উপরন্তু অতিথিদের প্রতি কবির রূঢ়কথার জবাবদিহি করিতে না পারিয়া লজ্জায় সাধারণের কাছে এবং বিশেষ করিয়া শক্রপক্ষের কাছে তাহাদের অনেকদিন মাথা হেট করিয়া থাকিতে হইয়াছিল। অনুরাগের মর্যাদা যে দেন নাই ইহা রবীন্দ্রনাথ কিন্তু পরে অনেকখানি বুঝিয়াছিলেন। তিনি ২৫শেই রামানন্দের ক্ষুদ্র বাসায় আসিয়া হাজির । ছোট বড় সকলকে ডাকিয়া খবর লইলেন। সেদিন যে উত্তেজনার বশে তাহাদের দেখেন নাই, স্বীকার করেন নাই— ইহার জন্য দুঃখ প্রকারাত্তরে জানাইয়া দিলেন। রামানন্দ তাহাকে স্পষ্টই বলিয়াছিলেন, “আমাদের চেয়ে আপনাকে বাহিরের কোনো লোক বা জাতি বেশী ভালবাসিতে পারে ইহা আমি কিছুতেই বিশ্বাস করিব না। রবীন্দ্রনাথ পরাজিত হইয়া বলিলেন, আপনার কিংবা জগদীশ প্রভৃতির কথা আমি বলি নি। তিনি চারুচন্দ্রের ক্ষুদ্র অফিসঘরেও একবার ঢুকিলেন, চারুচন্দ্র অভিমান ও বেদনায় দুদিন করিলেন। বন্ধুদের বাড়ী বাড়ী গিয়া বোধহয় তাহাকে অভিমান ভাঙ্গাইতে হইয়াছিল। পরে মাঘ মাসে রামমোহন লাইব্রেরীর এক সভাতেও তিনি ঐ বিষয়ে কিছু বলিয়াছিলেন।” পুলিনবিহারী সেন কবি সংবর্ধনা ১৩১৮-১৩২৮' প্রবন্ধের নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তিতে সৎবর্ধনা শাস্তিনিকেতন ৭ অগ্রহায়ণ ১৩২০ অধ্যায়ে এই সম্মান ও সংবর্ধনার বিষয়ে আপূর্ব তথ্য নথিবদ্ধ করেছেন। সীতাদেবী প্রণীত পুণ্যস্মৃতি’, চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের সত্যেন্দ্র পরিচয়' (প্রবাসী, শ্রাবণ ১৩২৯), ফকিরচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘বোলপুরে রবীন্দ্র সম্বৰ্দ্ধনা’ ১ রামানন্দ ও অর্ধ-শতাব্দীর বাংলা পূ ১৬৫ ৷ 8 પૈકૃ૪