পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্রনাথের লেখা একরকম বন্ধ হইয়া গেল। প্রথম বংসর (১৩২১) তিনি প্রবাসীতে কোনো লেখাই দেন নাই। তবে প্রবাসীর “কষ্টিপাথরে” তাহার বিখ্যাত গল্প “স্ত্রীর পত্র’ এবং কয়েকটি প্রবন্ধ ও কবিতা তোলা হইয়াছিল। মনে হইতেছে গল্প তোলাতে সবুজপত্রের দল আপত্তি করেন। ; সবুজপত্রের সূত্রে মণিলালের মনের ভাবে'র উল্লেখ করেছেন রবীন্দ্রনাথ। সবুজপত্রের প্রস্তুতিপর্বে ও নানা সময়ে সবুজপত্র উপলক্ষ্যে মণিলালের সঙ্গে সংযোগও করেছেন। পবিত্র গঙ্গোপাধ্যায় উল্লেখ করেছেন, সবুজপত্রের প্রথম দু বছর সহকারী রূপে দেখাশুনা করেছিলেন মণিলাল। সবুজপত্র প্রকাশিত হবার পর প্রবাসীতে লিখতে না পারার এই কারণ জানিয়ে রামানন্দকে ৫ আষাঢ় ১৩২১এর পত্রে রবীন্দ্রনাথ লেখেন : প্রবাসীর প্রতি আমার মমতা কিছুই কমে নাই। আমার মুস্কিল এই যে সবুজপত্রে ঢাকা পড়িয়াছি। ওটা আত্মীয়ের কাগজ বলিয়াই যে কেবল উহাতে আটকা পড়িয়াছি তাহা নহে ঐ কাগজটা আমাদের দেশের বর্তমান কালের একটা উদ্দেশ্য সাধন করিবে বলিয়া আমার ধারণা হইয়াছে । অন্য পত্রিকাগুলি বিচিত্রবিষয়ক প্রবন্ধে পূর্ণ হইয়া থাকে— তাহাতে পাঠকদের মনকে বিশেসভাবে আঘাত করে না, নানা দিকে বিক্ষিপ্ত করিয়া দেয়। সবুজপত্রের একটা বিশেষ ভাবের আকৃতি ও প্রকৃতি যাহাতে ক্রমে দেশে ১ রামানন্দ ও অর্ধশতাব্দীর বাংলা পূ ১৬৬। ২ চলমান জীবন' প্রথম পর্ব ১৩৬৩ সং পৃ ১০৮। প্রসঙ্গত, সৌরীন্দ্রমোহন মুখোপাধ্যায়কে লিখেছেন ভারতীর দলের তরুণ সাহিত্যব্রতীগণই তাদের কাগজের জন্য সম্পাদক হিসেবে প্রমথ চৌধুরীকে বৃত করেন। দ্র ‘রবীন্দ্র-স্মৃতি' ১৩৬৪ পৃ ১৪৬-১৪৮। সবুজপত্রের সঙ্গে মণিলালের যোগসূত্রে সুধীন্দ্রনাথ দত্তের কাছে রবীন্দ্রনাথের চিঠি উদ্ধৃত করেছেন পুলিনবিহারী সেন। দ্ৰ পত্রাবলী’ শারদীয় দেশ ১৩৭৩ পৃ ১৬ । এইসূত্রে প্রমথ চৌধুরীকে লেখা এই পত্রগুলির সাক্ষ্য নেওয়া যেতে পারে : চিঠিপত্র ৫ পৌষ ১৩৫২ পত্র ২৩, ২৮, ৩২, ৩৩, ৩৫, ৩৯ ৷ 8 ᏄᏬ